পাতা:গোপীচন্দ্র (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
গোপীচন্দ্রের সন্ন্যাস
৪৮৭

কিছু বান্ধা রাখে লয়া অল্প ধন।
তবে বান্ধা লব আমি মৃকুলের রাজন॥
রূপে বিদ্যাধর রাজা মোহনমূরতি।
লইয়া রাজাকে আমি ভুঞ্জিব সুরতি॥
যার রূপ দেখে ভুলে কামিনীর মন।
অবশ্য লইব বান্ধা দিয়া কিছু ধন॥
এতেক ভাবিয়া কহে নটিনী সুন্দর।
কত ধন লয়া বাছা রাখ রাজেশ্বর॥
সিদ্ধা বলে যদি কড়ি একুশ বুড়ি পাই।
তবে নকর বান্ধা দিয়া কিছু কিনে খাই॥
এতেক শুনিয়া বেশ্যা লাগিল হাসিতে।
দাসীকে কহিল বেশ্যা কড়ি আনি দিতে॥
কড়ি আনিয়া দাসী হাড়িফার হাতে দিল।
রাজাকে বান্ধা দিয়া তখন হাড়িফা চলিল॥
একুশ বুড়ি কড়ি লইয়া করিল গমন।
বাজারে চলিয়া গেল নকুলের কারণ॥
মুদির দোকানে কড়ি দিল একুশ বুড়ি।
সিদ্ধের নকুল খাইল কামেশ্বরের বড়ী॥
কামেশ্বরের নাড়ু, খাইয়া আনন্দ হইল।
ফুলবাড়ীতে যাইয়া নাথ গোফাতে বসিল॥
আনন্দ হইল নাথ গোফার ভিতরে।
রাজাকে লইয়া হেথা বেশ্যা গেল ঘরে॥
রাজাকে লইয়া বেশ্যা হরষিত মন।
নানান অলঙ্কার বেশ্যা পরে আভরণ॥
রত্ন পেটারির বেশ্যা ঘুচাল ঢাকুনি।
যে স্থানে যে গহনা লাগে পরেন আপনি।
হস্তে করি নিল বেশ্যা সুবর্ণ চিরুণী।
মস্তকে চিরিয়া কেশ গাথেন বিয়ানী॥