পাতা:গোপীচন্দ্র (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
গোপীচন্দ্রের সন্ন্যাস
৪৮৯

গোলাপ চন্দনের ফোটায় করিয়া ভুষিত।
মধুলোভে অলি ধায় দেখিয়া কিঞ্চিত॥
বসন পরিয়া বেশ্যা কান্যা মায়াধর।
বেশ করি হইল যেন দ্বাদশ বৎসর॥
নব যৌবন বেশ্যা রূপের মুরালী।
অলঙ্কার পরিয়া হৈল চন্দ্রের পুতলী॥
এতেক বেশ্যার মায়া রূপের নাই সীমা।
সুবেশ করিয়া নারী হইল তিলোত্তমা॥
রূপে বিদ্যাধরী যেন বেশ্যা সুলোচনী।
মর্ত্তেতে নামিল যেন ইন্দ্রের ইন্দ্রাণী॥
নানা বস্ত্র অলঙ্কার সুবেশ হইল।
পাটবস্ত্র আনিয়া বেশ্যা রাজার তরে দিল॥
শীতল মন্দির ঘরে হিঙ্গুলের রং।
তাহাতে বিছায়ে দিল সুবর্ণ পালং॥
পালং বিচায় বেশ্যা না করে আলিস।
আশে পাশে লেপ গির্দ্দা কৌতুকের বালিশ॥
সুবর্ণের বাটা ভরি তাম্বুল আনিয়া।
সুবাসিত গঙ্গাজল রাখে ভৃঙ্গার ভরিয়া॥
উপরে টাঙ্গায়ে দিল ফুলগিরি চান্দয়া।
পালঙ্গে বসিল বেশ্যা সুবেশ করিয়া॥
স্নানের বস্ত্রে আনি রাখিলেন কোরা।
দাসীকে কহে রাজাক শীঘ্র স্নান করা॥
বেশ্যা বলে শুন রাজা মৃকুলের ঈশ্বর।
স্নান করি আসি বৈস পালঙ্গ উপর॥
না করিব আর আমি আপনার ব্যবসা।
এখন করিতেছি আমি তোমার ভরসা॥
অন্য বঁধু বলি আমার মনে কিছু নাই।
এ ধন যৌবন আমি সঁপিব তোমার ঠাই॥

৬২