পাতা:গোপীচন্দ্র (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
গোপীচন্দ্রের সন্ন্যাস
৪৯০

রাজা বলে শুন তুমি বেশ্যা সুলোচনী।
ময়নামন্ত্রি নামে আছে আমার জননী॥
ধন মাল আছে কত লেখা নাই তার।
রজত কাঞ্চন আছে সপ্ত ভাণ্ডার॥
সুবর্ণ পালঙ্ক কত আছে ঠাই ঠাই।
তোসক মশারি কত লেখা জোখা নাই॥
পাটবস্ত্র আছে কত আর খাসা জোড়া।
পিলখানাতে হাতী আছে পৈঘরেতে ঘোড়া।
দালান কোঠা আছে কত সারি সারি।
তোমার অধিক আছে আমার চারি নারী॥
আর যত আছে তাহা কহিতে না পারি।
সকল ছাড়িয়া হইলাম কড়ার ভিকারী॥
তোমার সঙ্গে যদি আমি ভুঞ্জিব ছুরতি।
তবে কেন ছাড়িব আমি এ চার যুবতী॥
পুনর্ব্বার যদি আমি করিব শৃঙ্গার।
গুরুর চরণে আমার না হবে নিস্তার॥
তোমার সঙ্গে যদি আমি বঞ্চি এক নিশি।
গুরু কহিবে আমাক ভণ্ড তপস্বী॥
তত্ত্বজ্ঞানী গুরু আমার নাম জলন্ধর।
তবে জ্ঞান নাহি দিবে না হব অমর॥
আঠার বৎসর মোট আমার প্রমাই।
সেই জন্য কৈল মুনি ময়নামন্তি রাই॥
ষোল বঙ্গের আমি ছাড়িয়া রাজাই।
সকল সার করিলাম হাড়িফা গোসাই॥
এ সুখ সম্পদ আমার কিছু না লয় মনে।
মন বান্ধা আছে আমার হাড়িফার চরণে॥
হাড়িফার চরণ বিনে আর নাহি জানি।
তোমাকে দেখি যেন আমার জননী।