বিপদে পড়িয়া রাজা করে হায় হায়।
প্রাণ বিদরে আমার পাথরের ঘায়॥
হায় হায় বলিয়া রাজা পড়িল সঙ্কটে।
এহিত আছিল কানাই আমার কপালে॥
সুকুর মামুদ কয় ভাব অকারণ।
সিদ্ধি হইল কাজ বেশ্যার ভুবন॥
ত্রিপদী।
জন্মিনু গোরক্ষের বরে, ময়নামন্ত্রির উদরে,
আঠার বৎসর আমার প্রমাই।
আইনু মুনিক ভাড়াইয়া, পিতা দিল চারি বিয়া,
আর দিল মৃকুলের রাজাই॥
তবে ময়নামন্ত্রি মাতা, বুঝাইয়া কত কথা,
ছাড়াইল এ চারি সুন্দরী।
রাজ্য পাট ছাড়াইয়া, গলে কাঁথা পরাইয়া,
কৈল মোরে কড়ার ভিখারী॥
অমর হইতে কায়, সঁপিল গুরুর পায়,
গুরু জ্ঞান দিলেন আমারে।
হইল আমার কুবুদ্ধি, না পানু জ্ঞানের সুদ্ধি,
গুরুকে পুতিলাম পৈঘরে॥
স্ত্রীর উপরে মতি, গুরুকে পৈঘরে পুতি,
রাখিলাম পঞ্চ বৎসর।
আইল শুনে কানাই, আর ময়নামন্ত্রি রাই,
উদ্ধারিল গুরু জলন্ধর॥
গুরু আমার জ্ঞানী বড়, মনেতে জানিলাম দড়,
মৃত্যু নাহি এ ভব সংসারে।
পঞ্চ বৎসর পোতা ছিল, অন্ন জল না খাইল,
উঠিল গুরু অপূর্ব্ব শরীরে॥