পাতা:গোপীচন্দ্র (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪৯৬
গোপীচন্দ্রের সন্ন্যাস

শাস্ত্রেতে শুনেছি আর লোক মুখে।
গুরুর ঘোষণা রৈল সেবকের পাকে॥
আহা গুরু পরমব্রহ্ম সংসারের সার।
নটিনীর ঘর হৈতে করহ উদ্ধার॥
যেই মাত্র গোপীচন্দ্র এতেক কহিল।
গোফাতে বসিয়া নাথ হাড়িফা জানিল॥
তত্ত্বজ্ঞানী হাড়িফা সিদ্ধা জানিল অন্তরে।
আমার সেবক মরে নটিনীর ঘরে॥
হুহু শব্দ করি সিদ্ধা চাড়ে হুহুঙ্কার।
সাত তোলা ভারী হহল বাইশ মণ পাথর॥
সোনার কবজ যেন দিলেন গলায়।
এইরূপে রৈল পাথর রাজার হৃদয়॥
মন্দা মন্দা বাও তখন বহেত পবনে।
সন্তোষ হইল তখন মুনির নন্দনে॥
আছিল রবির ছটা হইল আবছায়া।
সুখে নিদ্রা জায় রাজা মন্দা বাও পায়া॥
হাড়িকা বলেন বেটা কি কাম করিল।
সিদ্ধার সেবক হইয়া বেটা নিদ্রা কেন গেল
অন্ন জল নিাদ্রা তেজিল বার মাস।
বেশ্যার ভবনে রাজা সাধিল সন্ন্যাস॥
নিজনাম ব্রহ্মজ্ঞান শুনাইব কানে।
অমর হইবে রাজা সেই ব্রহ্মজ্ঞানে॥
এতেক ভাবিয়া নাথ হুহুঙ্কার ছাড়িল।
সপ্ত দিনের পথ সিদ্ধা তিন দণ্ডে গেল।
রাজার নিকটে যাইয়া সিংহনাদ পূরিল।
সিংনাদ শুনিয়া রাজার ধ্যান ভঙ্গ হৈল॥
চেতন পাইয়া রাজা দেখে গুরুধাম।
বন্ধনে থাকিয়া গুরুক করিল প্রণাম॥