পাতা:গোপীচন্দ্র (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
গোপীচন্দ্রের সন্ন্যাস
৪৯৭

নাথ বলে জিউ বাছা আমি দিলাম বর।
আর মরণ না হইবে চারি যুগ ভিতর॥
নিজনাম দিব বাছা নাহিক অপেক্ষা।
সেবক হইয়া এখন জ্ঞান কর শিক্ষা॥
এতেক বলিতে বেশ্যা আইল বিদ্যমান।
সুলোচনী এল যত বেশ্যার প্রধান॥
সুলোচনী বেশ্যা বলে শুন জলন্ধর।
বৃথা বান্ধা লয়াছিলাম তোমার নফর॥
কর্ম্ম নাহি করে চিড়া খায় আড়ি আড়ি।
তে কারণে নফরের পায়ে দিলাম বেড়ী॥
নফরের কার্য্য নাই দেহ মোর কড়ি।
তবে তো তোমার নফর আমি দিব ছাড়ি॥
হাড়িফা বলেন বেশ্যা সব আমি জানি।
কর্ম্ম নাহি করে নফর নিত্য বহে পানি॥
এতেক বলিয়া সিদ্ধা শূন্যরাজকে ডাকিল।
অন্তরীক্ষে ছিল শূন্য সাক্ষাতে আইল॥
হাড়ি বলে শূনারাজ শুন দিয়া মন।
বেশ্যার তরে কড়ি দেহ না এখন॥
কড়ি আনিয়া শূন্য দিল গোপীর তরে।
গোপীনাথ লয়ে কড়ি ঝুলির মধ্যে ভরে॥
রাজার ঝুলির মধ্যে কড়ি দিল ছাড়ি।
ঝুলি হইতে কড়ি পড়ে একুশ বুড়ি॥
হুহুশব্দ করি সিদ্ধা ছাড়ে হুহুঙ্কার।
দেখিতে দেখিতে কড়ি হইল সোনার॥
সোনার কড়ি দেখি বেশ্যার মন কলপিল[১]
কোছাত করিয়া কড়ি তুরিত তুলিল॥


৬৩
  1. ‘কলিপল।’