পাতা:গোপীচন্দ্র (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৮
গোপীচন্দ্রের গান
লড়—√ল ড্ চলনে।
ছেপলা মৎস্য—চেলা মাছ, ইং প্রতিশব্দ minnow।
পানকাউড়ি—পানিকাক; ক্ষুদ্রার্থে ড়ি’ প্রত্যয়।
বানোয়ার—এক প্রকার মৎস্যজীবী পক্ষী।
পাখা—প্রা° প ক্ খ।
সাটতে—তাড়নে। প্রা° স ট্ ঠি (ষষ্টি হইতে)।
ঠোকাইয়া—ঠোঁট দিয়া চাপিয়া।
ঢেকেয়া—ধাক্কা মারিয়া। স° √ধ ক্ক ধ্বংসে।
কোন কাম করিল—পুরান ছড়া, গাথা প্রভৃতিতে এই প্রশ্নাত্মক বাক্যাংশের বহুল প্রয়োগ দেখা যায়। কৃষ্ণপ্রেমতরঙ্গিণীতে ‘তৃণাবর্ত্ত মহাদৈতা কোন কর্ম্ম করে।’ (১০স্ক° ৭ অ°)।
গচি মচ্ছ—ছোট বাইন বা পাঁকাইল মাছ। মচ্ছ—প্রা° রূপ।
ঘুগড়ি—পতঙ্গভেদ, (ক্ষুদ্র জাতীয় কপোত নহে)।
পাতালক লাগিয়া—পাতালের উদ্দেশে।
মোচড়ায় দাড়ি—তুল মোছে চাড়া দেওয়া।
সালী—প্রা° সা লি আ (শ্যালিকা)।

পৃষ্ঠা ৩৪

লাগ্য—লাগ, সন্ধান।
বিলই—বিড়াল।
তেলঙ্গা—তেলাপোকা।
উপর কৈরে—অধোমুখ করিয়া। উদ্বর্ত্তিত প্রাকৃতে উ ব্ব ড়ি অ শব্দ পাওয়া যায়।
হাপসাইল—অসাড় হইল। মৌলিক অর্থ কণ্ডিত হইল, আহত হইল। কৃ° কী° এ আ পো ঙ ষ; কৃষ্ণপ্রেম-তরঙ্গিণীতে আ প সে, আ প সি তে; বাঘের দেবতা সোনারায়ের গানে, ‘মধ্যপথে লাগাইল পায়া বাঘে আ প চা য়’। রাঢ়ের পশ্চিম প্রান্তে ঠেঙ্গান অর্থে আ প সা ন বা হা প সা ন শব্দ প্রচলিত।
চিতর—চিত্, উত্তানভাবে। পূর্ব্ববঙ্গে চি ত্ত র।
নেদাবার—লাথাইবার লাথি মারিতে।
ঘড়ানী—গৃহপালিত বা গ্রাম্য।
সিকিরা—ফা°।
বাজ—শ্যেন, (hawk)। ফা°।
টালিয়া—ঠেলিয়া।
সালেয়া—ছোট ইন্দুর।
কাঠিয়া তেলী—রাড়ের ‘বীচতলা’ আসামে ‘কাঠীয়াতলী’, land on which rice is grown for transplanting।
মাচা—প্রা° ম ঞ্চ অ।

পৃষ্ঠা ৩৫

বাম গালসি—বাঁ-কস।
সুবোধিয়া গোদা যমক ইত্যাদি—শিষ্ট গোদা যমকে দুষ্টা (ময়নামতী) ধরিয়া ফেলিল।
টরকিয়া—লাফাইয়া।
গরদান—ঘাড়। ফা° গ র্ দ ন।
সান্দি—সন্ধি, ফাক, interstice।
বৈষ্ণব রূপ হইল ইত্যাদি—এখানে বৈষ্ণবের বেশভূষাটি লক্ষণীয়।
কাকড়া—মাগধী ক ক্ক ড় এ (কর্কটকঃ), প্রাচা হি°কে ক রা।
মাটিয়া—প্রা° ম টি আ (মৃত্তিকা)।
সাইল—অপরাজিতা (?)।
মালা—কেহ কেহ অনুমান করেন শব্দটি তামিল ভাষা হইতে গৃহীত, যাহার অর্থ ফুল।
এণ্ডার ঠাল—এরণ্ডবৃক্ষের ডাল।
আসা—কাষ্ঠপীঠ সংলগ্ন দণ্ড বা যষ্টি। (যোগী ফকিরের ব্যবহার্য।)। আ° আ শা।
সেবার বাড়ী—মঠ, আখড়া।
মৌমাছি—প্রা° ম হু এব° ম চ্ছি আ।
মাঝ—প্রা° ম জ্ ঝ।

পৃষ্ঠা ৩৬

ওঠে—ওথা।
হাড়িয়া—(হাঁড়ির মত) বড়; ‘হাড়িয়া হাঁড়িয়া তাল দিল খাইতে মধুব।’ কুত্তিবাসী লঙ্কাকাণ্ডের পুঁথি (১০৯১)। সি° হে ডো শব্দ তুল°।
এক্‌কে—একই।
টাল—ঠেলা, থাবড়া।
মিতিঙ্গা—মৃত্তিকা।
সইস্যা—সরিষা।
দুবুলা—দূর্ব্বা।
খারবাড়ি—দল বা দামপূর্ণ জলা।
পাঁজা—মৌলিক অর্থ ইষ্টকাদি পোড়াইবার ভাটা। ভাটাতে ইঁট প্রভৃতি সাজাইয়া দেওয়া হয়। তাহা হইতে সাজান স্তূপ। ফা° প জা রা।