পাতা:গোপীচন্দ্র (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৭০
গোপীচন্দ্রের পাঁচালী
বৈকুণ্ঠ ভুবন—স্বর্গ।
লাগল—নাগাল, সন্ধান; বিবরণ। স° √ল গ্ স্পর্শে।
মুখে মধু দিয়া ইত্যাদি—মিষ্ট কথায় (ও রূপের মোহে) মুগ্ধ করিয়া যথাসর্ব্বস্ব হরণ করে।
ব্যাঘ্র দৃষ্টে—শিকারীর ন্যায় তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে।
জোখের মতন হবে—জোঁকের ন্যায় অজ্ঞাতে রক্ত শোষণ করে।
মেউরের ফেঁকা ধরে—ময়ূরের ন্যায় (রোষে) পক্ষ বিস্তার করে অর্থাৎ বিরক্তি প্রকাশ করে। মেউর—প্রা° ম ঊ র। ফেঁখা—প্রা° প খ ম; °পা পে ক্ খু ণ।
অক্ষি ঠাএরে—আঁখি ঠারে, নয়ন সঙ্কেতে।
ভাল কোন চাই—শ্রেষ্ঠ কে?
মোটা—তামিল মোট অর্থে কাপড়ের বস্তা।
গমন—সহবাস; mark the sematology।

পৃষ্ঠা ৩২০

আর্জ্জিয়া—অর্জিয়া, উপর্জ্জন করিয়া।
সুখাএ—সুখী হয়; তল° দুখাএ (গো° বি°)।
জনম—আজন্ম, মৃত্যুকাল পর্য্যন্ত।
নামে—মোটেই, আদৌ।
উঠিয়া পড়ে—উড়িয়া পড়ে।
শঙ্খিনী—শকুনী।
মহামুনি—পুত্রের প্রশংসা। খণ্ডিত স্থলে ‘করে পরিধান’ এইরূপ কিছু ছিল বোধ হয়।
শাড়ী—সাড়ী শব্দ দ্র°।
শোয়াস—শ্বাস। বিপ্রকর্ষে।
মহা হএ—গন্ধে ভুর ভুর করে। অনন্ত দাসের পদে, ‘যতনে সাজানু ফুলের সেজ গন্ধে মোহ মোহ করে।’ কথ্য ভাষায়
‘মহ মহ কর্‌তেছে’। প্রা° ম হ ম হ ই (অতি সৌরভমুদ্বহতি)।
সেই সে—সেই-ই। সেহি হি (হি অবধারণে)>সেহি সি>সেই সে; সেই<সহি। সে’ is due to attempt at corrections। Cf. ‘তুমি সে শ্যামের সরবস ধন শ্যাম সে তোমার প্রাণ।’; ‘যাকে যার অভিরুচি সেসি তারে ভায়।’ (কবিশেখরের গোপাল-বিজয়); ‘সিসি ধন্য সিসি শুদ্ধ সেহি-সে পণ্ডিত।’ (কীর্ত্তন ঘোষা)। অন্যথা সে শব্দ অনর্থক।
প্রাণ—প্রাণ-সমা।
আহ্মি—প্রা° অ ম্ হি (অহম্)।
তুহ্মি যারে চিন্ত ইত্যাদি—‘ভাল কোন চাই’ বলিরা প্রশ্ন করা হইরাছিল, চারি জাতীয় রমণীর মধ্যে কে উত্তমা। তদুত্তরে এখানে চিত্রাণী নারীর প্রশংসা করিয়া বলা হইতেছে গোবিন্দচন্দ্র চিত্রাণীতে অনুরক্ত তাহা ময়নামতীর অবিদিত নাই। ইহার অব্যবহিত পূর্ব্বে পদ্মিনীর শ্রেষ্ঠত্ব সূচিত হইয়াছে।
চন্দ্রে—চন্দ্ররূপ তোমাকে।
ষোল কলায় বেড়ি লৈল—ষোলকলায় পরিপূর্ণ, পূর্ণ যৌবন সম্পন্ন। ষোল—ম° সো ळा, গু° স ळ। কলা—A digit বেড়ি—প্রা° √বে ঢ় বেষ্টনে।
যম ঘর—যমালয় দ্র°।

পৃষ্ঠা ৩২১

পৌরুষ—পুরুষোচিত কর্ম্ম। পরের পুত্রকন্যার বিবাহের ব্যয় নির্ব্বাহ করা ও ব্যবস্থাদি করিয়া দেওয়া পূর্ব্বে পুরুষোচিত কার্য্য বলিয়া গণ্য হইত।
শূন্য প্রান্ত পাইয়া ইত্যাদি—পথ-পার্শ্বে বা প্রান্তরে বৃক্ষ রোপণ, পুষ্করিণী খনন,