মেহারকুলেত আছে জ্ঞানী এক জানি।[১]
মৈনামতি নাম তার রাজার ঘরিণী॥
ঈশ্বরের হোতে সেই পাইল মহাজ্ঞান।
জ্ঞানী নাহি পৃথিবীতে তাহর সমান॥
বিধবা জে নারী পুত্র রাজরাজেশ্বর।
দৈবগতি হাড়িফা বঞ্চয়ে তার ঘর॥
তার পুত্রে গুরু তোর বান্ধিয়া রাখিল।
মাটীর করিয়া ঘর তাহারে থুইল॥
হস্তী যেন বান্ধি রাখে তাহার উপর।
নিরন্তর থাকে সিদ্ধআ মাটির ভিতর॥ (পুঃ ৪৩—৪৪)।
শ্রীযুক্ত নলিনীকান্ত ভট্টাশালী সম্পাদিত মীনচেতন গ্রন্থে, দুর্গা দেবীর শাপ দেওয়ার পরে
তবে সিদ্ধা চলি গেলা যার যেই ঘরে।
প্রথমে হাড়িফা গেল মৈনামতির ঘরে॥
ত্বরিত গমনে গেল মৈনামতির পুরি।
তথা গিয়া রহিলেক হাড়িরূপ ধরি॥
গোর্ক্ষ নাথ চলি গেল বঙ্গ নিকেতন। ইত্যাদি (পৃঃ ৪)
অন্যত্র—
কানাইর বচনে গোর্ক্ষে আ (শ্বাস) বিশেষ।
তোমার গুরুর আমা হইতে শুনহ উদ্দেশ॥
বন্দী হৈছে তোমার গুরু মেহারকুলেতে।
নির্ণয়ে দেখিল আমি কহিল তোমাতে॥
মেহারকুলেত আছে বড়হি ডাকিনি।
মৈনামতি নাম তার রাজার ঘরিনী॥
বিধবা রমনী সে যে পুত্র রাজেশ্বর।
দৈবগতি হাড়িফাএ বঞ্চে তার ঘর॥
- ↑ পাঠান্তর—
মেহার কুলেতে আছে ডাকিনী যোগিনী।
এবং
মেহার কুলেতে আছে জ্ঞানী যে ডাকিনী॥