পাতা:গোপীচন্দ্র (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৭

চা’র ছেইলার মাও হৈলাম তোর দ্যাবের ঘরে।
দয়া করি চার খান শাখা নাই পিন্ধাইস মোরে॥
ভাসুর আইসে শশুর আইসে অন্ন আন্ধি দ্যাওঁ তারে।
আমার হাত মুড়া গোসাই তা নজ্জা নাগে তোকে॥
শিব বলে শুন চণ্ডি দক্‌খ রাজার বেটি।
শাঁখা দিবার না পাইম আমি জাক বাপের বাড়ি॥
একথা শুনিয়া চণ্ডি আনন্দিত মন।
নাইওর নাগিয়া চণ্ডি করিল গমন॥
কাত্তিক গনেশ নিল ডাইনে বায়ে সাজাইয়া।
অগ্নিপাটা সারি নিল পরিধান করিয়া॥
নাইওরক নাগিয়া চণ্ডি জায়তো চলিয়া।
পালঙ্গেতে বুড়া শিব আছে শুতিয়া॥
নারদ মুনি ডাকে তাকে মামা মামা বলিয়া।
ওহে মামা ওহে মামা তুমি বড় অসিয়া॥
পাকা দ্যাড় পহর ব্যালা আছ পালঙ্গে শুতিয়া॥
ঝগড়া নাগাইয়া চণ্ডি জায় গোসা হইয়া।
নারদ ভাইগ্না তাকে ডাকায় কান্দিয়া কাটিয়া॥
ওহে মামি ওহে মামি কাত্তিক গনেশের মাও।
এক পাও আগাইবা জদি মামি কাত্তিকের মুণ্ডু খাও॥
ফিরা পা আগাইও জদি গনেশের মুণ্ডু খাও।
ফিরা পা আগাইও মামি আমার মাথা খাও॥
বাড়ির কাম কাজ ন্যাখা দিয়া কাল নাইওরেতে জাও।
নারদ ভাইগ্নার বাক্যেতে মহল ফিরিয়া গ্যাল।
মহল জাইয়া চণ্ডি মাতা কামের ন্যাখা দিল॥
প্রথমে দিলে ন্যাখা ভাত রান্ধা হাড়ি।
তার পরে ন্যাখা দিলে গাজা খোআ খুড়ি॥
চণ্ডি বলে ওরে নারদ বচন মোর হিয়া।
নিচ্চয় জাইব কা’ল নারদ নাইওর নাগিয়া॥
বাপের বাড়ি জাইয়া আমি কাটব মানার পাত।
মানার পাতে এক কোমর ভাত নিবোতো বাড়িয়া।
একতোলা সন্দক নবন পাতের আগালে থুইয়া।
গোটা চা’রেক মইসের মুড়ি দিব ভত্তা সাজাইয়া॥