পাতা:গোপীচন্দ্র (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪০

ধারের কথা কইলেন গোঁসাই জাইম কবিরের বাড়ি।
কাউ কিছু খোটা দিলে উপড়াইম পাকা দাড়ি॥
পাকা গোছ ছাড়িয়া গোঁসাই কাছা গোছ টানিব।
কোড়া চা’রকের দুস্ক পাইলে তবে ছাইড়া দিব॥
কাছত নাই মোর বাপের বাড়ি ধার করিবার জাব।
হাতত শাঙ্কা নাই দ্যান গোসাই বান্ধা থুইয়া খাব॥
দুই চোখ খাইছে বাপ মাও দোনো পাড়ার নোক।
জনম ঠেঙ্গুআর ঘরো ব্যাচাইয়া খাইছে মোক॥
দুই চোখ কাইছে বাপ মাও, দুই চোখ খাইছে রাই।
কোন্‌ঠে পিন্ধিম শাঙ্ক। খাড়ু প্যাটে রন্ন নাই॥
মাথায় হস্ত দিয়া কান্দে কাত্তিক আর গনাই॥
দুই চোখ খাইছে বাপ মাও মোর দুই চোখ খাইছে খুড়া।
আন্ধার রাইতো দিছে বিভা কমর ভাঙ্গা বুড়া॥
দাঁত নড়চড় করে শিবের চক্‌খে পেচুব গলে।
হাটেবার না পারে শিব ঝুলি প্যাটের ভরে॥
এতেরে বেতেরে ডালি কাখতে করিয়া।
দশ হাতে দশখান খাড়া নইলে ঘেচিয়া॥
মার মার করিয়া জাইছে কবির ক নাগিয়া।
কতেক দুর জায় দুর্গা কতেক পন্থ পায়।
কতেক দুর জাইতে কবিরের মহল পায়॥
কবির কবির বলিয়া তুলিয়া কারে রাও।
ঘরে ছিল কবির বেটা চমকিত গাও॥
হস্তে নৈল সিংহাসন ভৃঙ্গারতে জল।
কোরফুর তাম্বুল লইয়া জিগ্‌গাসে বচন।
কি কারনে আইছন মাগো সমাচার কর।
দুর্গা বলে ওগো কবির শোন সমাচার।
কা’ল হাতে কাত্তিক গনাই আছে উপবাস।
আড়াই পুটি চাউল দিয়া রুপাস রক্‌খা কর॥
জ্যান নাখান কবির তবে এই কথা শুনিল।
ধারের কথা কৈলা মাগো ধারের কথা শোন॥