কতেক দুর জায় দুর্গা কতেক পন্থ পায়।
কতেক দুর জাইতে দুর্গা শিবের লাগ্য পায়॥
এক পাঁও চড়িয়া দিলে বুক্খক নাগিয়া।
আর এক পাঁও চড়িয়া দিলে চরুকে নাগিয়া॥
হ্যাট মুণ্ড হইয়া তবে শিবক দেখিল।
শিবক দেখিয়া দুর্গা জিবাত কামড় দিল॥
আউর জুগে জুআন ডেবি কমর ব্যাকাঁ হ’ল।
পুবে উঠে ধর্ম্মি ব্যালা হইয়া ডণ্ডিপুর।
শাল মান্দার ভাঙ্গিয়া পবনে কৈলে চুর॥
শাল মান্দার ভাঙ্গিয়া বিরনে দিলে থানা।
পশ্চিম পাকে নাম পাড়া’লে হাজিপুর পটনা॥
ধল ঘাট ধল পাট ধল সিংহাসন।
ধল রথে চড়ি আইল আনন্দ ধরম॥
আনন্দ ধরমের পায় পড়িল ভজিয়া।
এক রাত মাথার ক্যাশ দুই রাত করিয়া।
আনন্দ ধরনের পায় পড়িল ভজিয়া॥
জা জা গঙ্গা বেটি তোমাক দিলাম বর।
ধামানি খ্যালাইতে দিলাম খিল নদি সাগর॥
হাট করিতে দিলাম চৌখুটা লগব।
পুজা খাইতে দিলাম ধবলা ছাগল॥
মহাদেবের বরে থাল ফিরে ঘরে ঘর।
চাউল কড়ি লইয়া থালক বিদায় কর॥[১]
- ↑ আমাদের ভাণ্ডারে আর একটী গান আছে। তাহা অনেকটা দ্বিতীয়টীর অনুরূপ। পাঠকের ধৈর্য্যচ্যুতির ভয়ে তাহা আর উদ্ধৃত হইল না। গ্রাম্য ভাষায় হর-পার্ব্বতীর কোন্দলই এই সকল গানের জীবন।