পাতা:গোপীচন্দ্র (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪২

কতেক দুর জায় দুর্গা কতেক পন্থ পায়।
কতেক দুর জাইতে দুর্গা শিবের লাগ্য পায়॥
এক পাঁও চড়িয়া দিলে বুক্‌খক নাগিয়া।
আর এক পাঁও চড়িয়া দিলে চরুকে নাগিয়া॥
হ্যাট মুণ্ড হইয়া তবে শিবক দেখিল।
শিবক দেখিয়া দুর্গা জিবাত কামড় দিল॥
আউর জুগে জুআন ডেবি কমর ব্যাকাঁ হ’ল।
পুবে উঠে ধর্ম্মি ব্যালা হইয়া ডণ্ডিপুর।
শাল মান্দার ভাঙ্গিয়া পবনে কৈলে চুর॥
শাল মান্দার ভাঙ্গিয়া বিরনে দিলে থানা।
পশ্চিম পাকে নাম পাড়া’লে হাজিপুর পটনা॥
ধল ঘাট ধল পাট ধল সিংহাসন।
ধল রথে চড়ি আইল আনন্দ ধরম॥
আনন্দ ধরমের পায় পড়িল ভজিয়া।
এক রাত মাথার ক্যাশ দুই রাত করিয়া।
আনন্দ ধরনের পায় পড়িল ভজিয়া॥
জা জা গঙ্গা বেটি তোমাক দিলাম বর।
ধামানি খ্যালাইতে দিলাম খিল নদি সাগর॥
হাট করিতে দিলাম চৌখুটা লগব।
পুজা খাইতে দিলাম ধবলা ছাগল॥
মহাদেবের বরে থাল ফিরে ঘরে ঘর।
চাউল কড়ি লইয়া থালক বিদায় কর॥[১]

গান গুলির রচনা কাল এক্ষণে গ্রন্থের রচনাকাল সম্বন্ধে কয়েকটী কথা বলা আবশ্যক মনে করি। পূর্ব্বেই কথিত হইয়াছে রংপুরের সংগৃহীত গাথার কোন হস্তলিখিত পুঁথি পাওয়া যায় নাই; উহা নিরক্ষর লোকদিগের নিকট হইতে সংগৃহাত। ডাঃ গ্রীয়ার্সনও কোন হস্তলিখিত পুঁথি পান নাই; তবে গাথাটী স্মরণাতীত কাল হইতে প্রচলিত—শাখাপল্লর নিশ্চয়ই ক্রমশঃ যোজিত হইয়াছে। গোপীচাদের আবির্ভাবের অল্প কাল পরেই মূল গাথা রচিত হওয়ার সম্ভাবনা। মুখে মুখে প্রচলিত গাথার ভাষা অবশ্যই ক্রমশঃ
  1. আমাদের ভাণ্ডারে আর একটী গান আছে। তাহা অনেকটা দ্বিতীয়টীর অনুরূপ। পাঠকের ধৈর্য্যচ্যুতির ভয়ে তাহা আর উদ্ধৃত হইল না। গ্রাম্য ভাষায় হর-পার্ব্বতীর কোন্দলই এই সকল গানের জীবন।