পাতা:গোপীচন্দ্র (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
88

জানিতে পারা যায় নাই। খালি এই গ্রন্থ হইতে বিচার করিলে দুই এক শত বৎসরের অধিক প্রাচীন নহেন এরূপ অনুমান উপেক্ষনীয় নহে।

গাথাগুলির ভাষায় ও ভাবে সাদৃশ্য ত্রিপুরা-চট্টগ্রাম অঞ্চল ও রংপুরের ভাষা এক রকম না হইলেও, আলোচ্য গাথাগুলির ভাষায় ও ভাবে স্থানে স্থানে যে ঐক্য দেখিতে পাওয়া যায় তাহা বিশেষ প্রণিধান যোগ্য। কয়েকটী স্থান এখানে উদ্ধৃত হইতেছে।

রংপুরের গাথা—

হাল খানাএ খাজনা ছিল দ্যাড় বুড়ি কড়ি।

(পৃঃ ১)

কারও পুস্কনির জল কেহ না খায়।
আথাইলের ধন কড়ি পাথাইলে শুকায়॥
সোনার ভ্যাটা দিয়া রাইয়তের ছাওয়ালে খ্যালায়
হ্যান দুক্‌খি কাঙ্গাল নাই যে ধরিয়া পালায়।

* * *

সেল্কা রাইয়তের ছিল সরঙ্গা নলের ব্যাড়া।
ব্রেতন করি জে ভাত খায় তার দুআরত ঘোড়া॥
ঘিনে বান্দি নাহি পিন্দে পাটের পাছড়া॥

(পৃঃ ২)

ভবানীদাসের পুঁথি—

সোন। রূপাএ গড়াগড়ি না ছিল কাঙ্গাল॥
হীরা মন মাণিক্য লোক তলিতে সুখাইত।
কাহার পুষ্কর্ণীর জল কেহ না খাইত॥
কাহার বাটীতে কেহ উদারে না জাইত।
সোনার ঢেপুয়া লৈয়া বালকে খেলাইত॥

* * *

মেহারকুল বেড়ি ছিল মুলি বাসের বেড়া।
গৃহস্থের পরিধান সোনার পাছড়া॥

* * *

দেড়বুড়ি কৌড়ি ছিল কানি খেতের কর।
চৌদ্দ বুড়ি কৌড়ি ছিল টাকার মোহর॥

পৃঃ ৩২১-৩২২