রংপুরের গাথা—
কলিকাল মন্দ কাল কলির সাত ভাও
জুআন বেটায় না পোসে বৃদ্ধ বাপমাও॥ (পৃঃ ৬৯)
রাজ্য হৈয়া না করে রাজ্যের বিচার।
পুত্র হৈয়া না করে জাঁয় পিতার উদ্ধার॥
নারি হৈয়া না করিবে জাঁয় সামির ভকতি।
শিস্স হৈয়া না ধরে গুরুর আরতি॥
এই কয় ঝন মইলে রানি জাবে রধোগতি॥ (পৃঃ ১৭৬)
অকুণ্ডল নারি হএয়া পুরুস বাছিবে। (পৃঃ ৬৯)
ভবানীদাসের পুঁথি—
কলির প্রবেশ হৈলে ধর্ম্ম হৈব নাশ।
বিধর্ম্ম করিয়া সবে করিব বিনাশ॥
রাজা হৈয়া না করিব রাজ্যের বিচার।
শাস্ত্রনীতি না মানিব করিব অনাচার॥
পুত্র সবে না করিব পিতার পালন।
স্বামীভক্ত না হৈব নারী সবের মন॥ (পৃঃ ৩২২-২৩।
অকুমারী নারী সবে মাগিব শৃঙ্গার। (পৃঃ ৩২৩)
রংপুরের গাথা—
দিনে আসে সাতবার জম আইতে নওবার।
চিলার নাকান ভৌরি ছান্দে তোমাক ধরিবার॥ (পৃঃ ৬৮)
ভবানীদাসের পুঁথি—
রাত্রিকালে আইসে জম দিনে চারিবারে।
নাজানি পাপিষ্ঠ জমে কারে আসি ধরে॥ (পৃঃ ৩২৮)
চিলরূপে আইসে জম সাচনরূপে জাএ।
মাছিরূপ ধরি জম ঘরেতে সামাএ॥ (পৃঃ ৩২৯)
রংপুরের গাথা—
আশপশি কান্দে তোর জদি গুন থাকে।
কুকিধন্নি মাও কান্দে জাবত প্রান বাচে॥