পাতা:গোবিন্দরাম - পাঁচকড়ি দে.pdf/১১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম পরিচ্ছেদ । ক্ষণকাল নীরব থাকিয়া বরেন্দ্রনাথ বাবু পুনরায় বলিতে লাগিলেন, “ঘণ্টাখানেকের পর তিনি আবার কতকটা সুস্থ হয়ে উঠলেন। " তখন সকলকে বিদায় করে দিয়ে আমাদের দুজনের হাত ধরে বললেন, “দেখ আমি এখন মৃত্যু-শয্যায়। আমায় ছুয়ে ভগবানের কাছে শপথ করা যে, সেই ধনের অৰ্দ্ধেক মনােহরের মেয়েকে দিবে।” আমরা - উভয়ে শপথ করলাম। তখন তিনি অতি কষ্টে বলতে লাগলেন, “আমি ভগবানের নামে মৃত্যু সময়ে শপথ করে বলছি যে, আমি মনোহরকে খুন করি নাই। সে এলে এই ধনের ভাগ নিয়ে আমাদের দুজনে বাচসা হয়, সহসা মনোহর মূচ্ছিত হয়ে পড়ে যায়। আমি তাড়াতাড়ি তাকে তুলতে গিয়ে দেখি, তার মৃত্যু হয়েছে। আমি জানতেম, তার হৃদরোগ ছিল। হঠাৎ রাগ হওয়ায় মৃত্যু ঘটেছে।” পিতার মৃত্যু সংবাদ পাইয়া প্ৰতিভা আকুল হইয়া কঁাদিয়া উঠিল। আমি নানারূপে তাহাকে সান্তুনা করিবার চেষ্টা পাইতে লাগিলাম। এই পিতৃশোক-কাতরা রোরুদ্যমানাকে কিরূপে আমি সাত্ত্বিনা করিব, কিছুই স্থির করিতে পারিলাম না। তাহার হাত দুখানি। আমার হাতে লইলাম। সেই সকরুণ দৃশ্যে আমারও চক্ষুদ্বয় অশ্রুপূর্ণ হইয়া উঠিল। কিন্তু কি কঠিন-হৃদয় গোবিন্দ বাবু! তাহার চক্ষু সম্পূৰ্ণ । নিরশ্ৰী। অষ্টম বর্ষীয় বালক যেমন আগ্রহপূর্ণ নত্ৰে বিচিত্ৰগল্পকারীর