গোবিন্দ দাসের করচা 》이 মুহি পাপী নরাধম লাড পানে চাই। লালসা হইল খেয়ে উদর পুরাই ॥ অস্তৰ্য্যামী প্ৰভু মোর বুঝিয়া ইঙ্গিতে। প্রসাদ করিয়া লাড দিলেন খাইতে । গণ্ড পাঁচ লান্দু পেয়ে উদর পূরিল। এক বিপ্র তানিয়া শীতল বারি দিল । ক্রমে গ্রাম্য লোক সব সংবাদ পঠিয়া । একে একে সেই স্থানে জুটিল আসিয় ॥ ভোগ লাগষ্টয়া প্রভু প্রসাদ বাটিল। সবে মেলি সেই স্থানে প্রসাদ পাইল ॥ প্ৰসাদেতে ভক্তি দেখে ক তই ভাবিনু । মুহি লোভী সৰ্ব্ব অগ্ৰে উদরে পূরিকু ॥ তাই ভাবি অনুতাপ করি মনে মনে । পাপক্ষয় লাগি ধরি প্রভুর চরণে ॥ নানাবাক্যে বুঝাইয়া মাথে পদ দিল । অমনি মনের ধন্ধা দূরে চলি গেল । তার পরে তাবেশেতে নৃত্য আরস্তিল । হরিরস মদিরায় সকলে মাতিল ৷ কেহ নৃত্য করে কেহ বিলুষ্ঠিত কায় । ঐ কৃষ্ণ বলি কেহ বৃক্ষ পানে ধায় ॥ ক্রমে সেই স্থানে বহু জনতা হইল । নরনারী যুব বৃদ্ধ সকলে ছুটিল । নবীন দ্যাসীর কথা শুনিয়া সকলে । একে একে আসি বার দিলা সেই স্থলে । বীরেশ্বর সেন আর ভবানী শঙ্কর । বহু লোক সঙ্গে আইল প্রভুর গোচব ॥ চতুদোলা হস্তী অশ্ব আর বহু যান। সঙ্গে করি আইলা প্রভুর বিদ্যমান ॥ চৈতন্য ভাগবত ও চৈতন্য চরিতামৃতে যে সকল স্থান দিয়া মহাপ্ৰভু গিয়াছেন লিপিত হইয়াছে সেই সকল স্থান সংশ্লিষ্ট অনেক দেবোপাপান এই উপলক্ষে । বর্ণিত হইয়াছে—কথা রেমুনায় গোপাল এবং সাক্ষীগোপাল প্রভৃতির উপাখ্যান । ○ ভবানী শঙ্কর হয় বড় ধনী জন । শত শত লোক সঙ্গে করে আগমন ॥ হস্তীর পৃষ্ঠেতে ডস্ক বিচিত্র নিশান । চারিটা রূপার হুদা চলে তা গুয়ান ॥ * বিষয়ের কীট সবে মত্ত অহঙ্কারে । তাহা হেরি দয়া হৈল প্রভুর অস্তরে ॥ তাঙ্গাদের দশ হেরি দয়াল চৈতষ্ঠ । ভক্তি দিয়া তাহদের করিলেন ধন্ত ॥ ভক্তিশিক্ষা দিয়া প্ৰভু সকলে মা তায় । - লক্ষাধিক লোক শুনে পুতুলের প্রায় ॥ দস্তে তৃণ করি প্রভু জোড় হস্তে বলে । সামান্ত লচন মোৰ শুনহ সকলে ৷ প্রভু কহে শুন সব ধর্মী মহ শয় । বেদিয়ার বাজী সম এ জগং হয় ৷ ঘুমের আবেশে যবে চড় সিংহাসনে। রাজ। বলি তখন উদয় হয় মনে ॥ কত শত পত্র মিত্র করিছে বিচার। লক্ষ লক্ষ প্রজা আসি দিছে উপহার ॥ এ স ক ল কি ব্যাপার নাহি কর ধ্যান । প্রতিচ্ছায়ার ছায়া ইহা ভাবরে অজ্ঞান ৷ কৃষ্ণ তত্ত্বের প্রতিচ্ছায়। জড়গজৎ হয়। তার প্রতিবিম্ব স্বপ্ন বেদে ইহা কয় ] দুটাই স্বপন হয় ভেবে দেখ মনে । কেবল বিভেদ তীর নিদ্র। জাগরণে ॥ রাজার রাজত্ব সব জাগিয়া স্বপন । সত্য মিথ্যা ভেবে দেখ বেদের বচন ॥ স্বর্ণ রৌপ্য মণি মুক্ত মটীর বিকার। আদরের বস্তু কৃষ্ণ এই কথা সার ॥ নিত্য বস্তু ভগবান বেদে ইহা কয় । আর যাহা কিছু দেখ সব মিথ্যা হয় ৷ জলের ভিতরে ডুবে থাকে যেইজন। কেমনে ডাঙ্গার বস্তু করিবে দর্শন ॥
- অাগুয়ান = অগ্ৰে অগ্ৰে ।