२२ প্রভু কহে আরো সার কহ মহামতি। রায় কহে সৰ্ব্ব সার ব্লাই রণবতী ॥ রামরায় আরো সার বলিবারে চায় । * অমনি বদন চাপি ধরে গোরারায় ॥ প্রভু কহে দুগ্ধে স্বত আছে গুপ্ত ভাবে। সে পাবে আস্বাদ তার যে জন মথিবে ॥ + প্রভু কহে রায় আমি কিছুই না জানি । কহ কহ কৃষ্ণ কথা তব মুখে শুনি ॥ বিরক্ত বৈষ্ণব তুমি ওহে রাম রায়। কহ কহ কৃষ্ণ তত্ত্ব জুড়াক হৃদয় ॥ শুনিয়া প্রভুর বাণী রামানন্দ রায়। দৈন্যভাবে ফুট হাত জোড় করি কয় ॥ বার বার কেন ছল জগৎ ঈশ্বর। কৃপাকরি এ দাসেরে কর অমুচর ॥ দেশময় ভক্তিরস ছড়াইলে তুমি। দয়া করি পবিত্র করিলে এই ভূমি । অধম জনেরে দয়া কর জগন্নাথ ; হৃদয়ে বৈরাগ্য দিয়া লহ মোরে সাথ ॥ এত শুনি রায়ে প্রভু কৈলা আলিঙ্গন । হাটু ধরি রামরায় করেন ক্ৰন্দন ॥ অশ্রুধারে রামানন্দের ভাসিল হৃদয় । তাহা হেরি গদ গদ স্বরে প্রভু কয় ॥ বৈষ্ণবের চূড়ামণি তুমি রামরায় । অধোমুখে রামানন্দ রাম রাম কয় ॥
- চৈতন্ত-চরিতামৃত এই অালোচনা বিস্তৃতভাবে পাওয়া যাইবে ।
+ এই উপলক্ষে চৈতন্ত্য-চরিতামৃত লিখিয়tছেন— “সহজে চৈতষ্ঠ চরিত ঘন দুগ্ধ পুর। রামানন্দচরিত আছে গও প্রচুর । রাধাকৃষ্ণলীলা তাতে কপুর মিলন। ভাগ্যবান ষেই সেই করে আস্বাদন ॥” (চৈ, চ, মধ্য ৮ম পঃ ১৯ - ) গোবিন্দ দাসের করচ প্রভু কহে রায় তুহু বড় ভাগ্যবান। তোমার ভাগ্যের কথা না যায় বাখান ॥ রায় বলে মুঞি অতি অধম পামর। স্পর্শদোষ হইয়াছে তোমার গোচর ॥ কৃপাকরি ক্ষমি মোর সেই অপরাধ । হৃদয়ে বসিয়া করাও ভক্তির আস্বাদ ॥ সে রজনী এইরূপ কথোপকথনে । * কাটাইল রামানন্দ গোরাচাদ সনে ॥ পরদিন রায় প্রভুর চরণ ধরিয়া । চলি গেল। নিজ কার্গে বিদায় লইয়া ॥ প্রভু কহে রামানন্দ এবে আমি যাই । নীলাচলে গিয়া তুহু থেকে মোর ঠাই ॥}} তুমি আমি আর ভট্ট থাকি নিরজনে। আলোচিয়া কৃষ্ণ তত্ত্ব জুড়াব জীবনে ৷ এত বলি প্রভু রায়ে দিলেন বিদায়। প্ৰণমিয়া রামানন্দ গৃহে চলি ষায় ॥ প্রভুর সহিত রায় যতেক কহিল। তাহার শতাংশ এহি গ্রন্থে না রহিল ॥ এইরূপে রামানন্দ দশদিন আসি । আনন্দিত হয় হেরি নদের সন্ন্যাসী ॥ দেখি রামানন্দে প্রভু বড় প্রতি পান। প্রভূরে দেখিলে রায় হয়েন অজ্ঞান ॥
- এই মতে দুই জনে কৃষ্ণ কথা বেশে।
নৃত্য গীত রোদনে হইল রাত্রি শেষে ॥ ( هط لا :t ة ما ,5 و5ة ) { বিদায়ের কালে তারে এই আজ্ঞা দিল । বিষয় ছাড়িয়া তুমি যাহ নীলাচলে । আমি তীর্থ করি তাহ আসিব অল্প কালে । দুইজনে নীলাচলে রহিব এক সঙ্গে ॥” (চৈ, চ, ৮ম পঃ ১৮৭ । ৮৮ )