ミ8 ইতি উতি চেয়ে চুণি প্রভুর চরণে । লোটাইয়া পড়িলেক অতি শুদ্ধ মনে । পাষণ্ড ঢুণ্টিরে ভক্তি বিতরণ করি। পন্থ-গুহা যাত্রা করে স্মরিয়া শ্ৰীহরি । ঢুণিরাম হরিদাস নামে খ্যাত হয়। কানা কানি পাষণ্ডের কত কথ। কয় ॥ আমারে ডাকিলা প্রভু হাসিয়া হাসিয়া । স্বন্ধেতে লইনু তুলে দুইটি খড়িয় ॥ খড়ম করঙ্গ আদি সম্বল যা ছিল । লইলু সংগ্ৰহ করি রায় যাহা দিল । অক্ষয় নামেতে বট বহু দূরে ছিল । সন্ধ্যাকালে সেই স্থানে প্রভূ উত্ত্বরিল ৷ বটেশ্বর নামে শিব আছেন তথায় । ভক্তি করি সেই খানে গোরাচীদ ধায় ॥ ভক্তিসহ বটেশ্বর প্রভূ প্ৰণমিলা । অনাহারে সেই থানে রজনী যাপিলা ॥ প্রভাতে যাইলা প্রভু স্নান করিবারে । ভিক্ষা করিবারে মহি ফিরি দ্বারে দ্বারে ॥ ভিক্ষণ মাগি আইলাম মধ্যাহ্ন সময়ে । পাক করি সেবা করে মোর গোর রায়ে ॥ প্রসাদ পাইমু মুহি অমৃত সমান। হেনকালে আইলা দেথা তীর্থ ধনবান। দুইজন বেঙ্গ সঙ্গে আইলা দেখিতে । সন্ন্যাসীর ভা'র ভুরি পরীক্ষা করিতে ॥ সত্যবাই লক্ষ্মীবাঈ নামে বেখাদ্বয় । প্রভুর নিকটে আসি কত কথা কয় ॥ ধনীর শিক্ষায় সেই বেশ দুই জন । প্রভূরে বুঝিতে বহু করে আয়োজন ॥ | এখানে ইহার অর্থ কৌশল। গোবিন্দ দাসের করচণ তীর্থরাম মনে মনে নানা কথা বলে। সন্ন্যাসীর তেজ এবে হরে লব ছলে ॥৬ কত রঙ্গ করে লক্ষ্মী সত্যবালা হাসে । সত্যবালা হাসি মুখে বসে প্রভূ পাশে ॥ কাচলি খুলিয়া সত্য দেখাইলা স্তন। সত্যরে করিল। প্রন্থ মাতৃ সম্বোধন ॥ থর থরি কাপে সত্য প্রভুর বচনে। ইহা দেখি লক্ষ্মী বড় ভয় পায় মনে ॥ কিছুষ্ট বিকার নাহি প্রভূর মনেতে । পেয়ে গিয়া সত্যবালা পড়ে চরনেতে ॥ কেন অপরাধী কর আমারে জনলি । এইমাত্র বলি প্রভু পড়িলা ধরণী ॥ খসিল জটার ভার ধূলার ধূসর। অতুরাগে থর থব কাপে কলেবর ॥ সব এলো থেলো হলো প্রভুর আমার । কোথা লক্ষ্মী কোথ। সত্য নাহি দেখি আর ॥ নাচতে লাগিলা প্রতু বলি হরি হরি। লোমাঞ্চি ত কলেবর অশ্রু দর দরি । গিয়াছে কেীপীন খসি কোথা বহির্বাস । উলাঙ্গ হইয়া নাছে ঘন বহে শ্বাস ॥ আছাড়িয়া পড়ে নাহি মানে কাটা খোচ । ছিড়ে গেল কণ্ঠ হ’তে মালিকার গোছা ॥ না খাইয়া অস্থিচৰ্ম্ম হইয়াছে সার। ক্ষীণ অঙ্গে বহিতেছে শোণিতের ধার ॥ হ'র নামে মত্ত হয়ে নাচে গোর রায় । অঙ্গ হতে অদভুত তেজ বাহিরায় ॥ ইহা দেখি সেই ধনী মনে চমকিল । চরণতলেতে পড়ি আশ্রয় লইল ।
- ছল’ শব্দটি করচায় নানা অর্থে ব্যবহৃত কিন্তু
| 4: বিচ্ছেদের ছলা হৈল ভাগ্য ক্রমে।” প্রভূতি স্থানের অর্থ ভিন্ন রূপ।