পাতা:গোবিন্দ দাসের করচা.djvu/১১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৮ গোবিন্দ দাসের করচা বৃক্ষতলে এই যে দুঃখিনী বসে আছে। এই সব অন্ন বস্ত্র দেহ ওর কাছে ॥ দয়া দেখে লোক সব আশ্চৰ্য্য হইল। কেহ বলে বুদ্ধালাগি ভিক্ষা মাগি নিল এত বলি প্ৰভু মোর বহিবাস পরি। যাত্রা করিলেন মুখে বলি হরি হরি। ইঙ্গিত করিলা প্ৰভু মোর পানে চাই । করঙ্গ খড়ম লয়ে পিছে পিছে যাই ॥ বহুতর লোক সঙ্গে চলিতে লাগিল । তাহে প্ৰভু একবার ফিরে না চাহিল ॥ একে একে সব লোক ফিরিয়া চলিল । রামানন্দ স্বামী তার সঙ্গ না ছাড়িল ৷ বড় সদাচর হয় রামানন্দ স্বামী । গোপনেতে তার তত্ত্ব পুছিলাম আমি ॥ রামাননা বলে ভাই প্রভুরে দেখিয়া । আমার কঠিন মন গিয়াছে গলিয়া ॥ যদি প্রভু শিষ্য নাহি করেন আমায়ে । তখনি ত্যজিব প্রাণ না রব সংসারে ॥ তার পর প্রভু মোর বেঙ্কট নগরে। উপনীত হৈল গিয়া দিবা দ্বিপ্রহরে ॥ সেই খানে ছিল এক পণ্ডিত গোসাই । বেদান্তে পণ্ডিত বড় তুল্য তার নাই ॥ বিচার করিতে চাহে পণ্ডিতপ্রবর । হারিলাম বলি প্ৰভু করয়ে উত্তর ॥ তথাপি ন ছাড়ে স্বামী বিচার করিতে । বদন বিকাসি প্ৰভু লাগিলা হাসিতে ॥ অদ্বৈতবাদের কথা স্বামী যত কয়। দ্বৈতাদ্বৈত বাদ তুলি চৈতন্ত বুৰায় ॥ অবশেষে ঘোরতর বিচার বাধিল । ক্রমে ক্রমে দণ্ডিস্বামী হারি মানি নিল ॥ রামানন্দ নাম তার বড়ই পণ্ডিত। হরিনামে রামানন্দ হইলা দীক্ষিত ॥ হরিনাম সুধা কর্ণে দিলেন ঢালিয়া । পড়িল স্বামীর মনে ভক্তি উছলিয়া ॥ রামানন্দ স্বামী তবে প্রণাম করিয়া । প্রভুর আজ্ঞায় মঠে গেলেন ফিরিয়া ॥ সকল শিষ্যেরে স্বামী হরিনাম দিলা । ভক্তিরসে মন তার মাতিয়া উঠিলা ॥ তিন দিন থাকি প্রভূ বেঙ্কট নগরে। অকপটে হরিনাম দেন ঘরে ঘরে ॥ কিবা নর কিবা নারী মাতিল সবাই । সেই সঙ্গে নাচে মোর চৈতন্য গোসাই ॥ মাতিল নগর পল্পী বালক বালিকা । কত লোক আসে যায় কে করে তালিকা ৷ ভক্তি তত্ত্ব উপদেশ দেন সৰ্ব্বজনে । e - e g a e মূঢ় যত লুটায় চরণে ॥ পাবও দেখিতে প্রভু আগে দেন কোল। কোল দিয়া তারে কন হরি হরি বোল ॥ পন্থভাল নামে তথা এক দস্থ্য ছিল। এই বাক্য শুনি প্রভু তথায় চলিল । সবলোক বলে সাধু না যাহ তথায়। যদি পন্থভীল বধ করে হে তোমায় ॥ পাপাচাব পন্থভাল নাছি কোন জ্ঞান। আপনারে পেয়ে পাছে একে করে আন ॥ না শুনিলা কারো কথা চেতন্ত গোসাই ধাইল বগুলা পানে পন্থভাল ঠাই ॥ বগুলা নামেতে বনে পন্থভৗল থাকে পথিক জনেরে পেলে ফেলায় বিপাকে ॥ বাধা সাধা নাছি মানি ভরঙ্কর বনে । কৌতুক দেখিতে প্ৰভু চলিলা সেখানে ॥ করঙ্গ লইয়া আমি পেছু পেছু যাই । কিছু না বলিল মোরে চৈতন্ত গোসাই ॥ প্রভূরে পাইয়া পন্থ আতিথ্য করিল সেই খানে মহাপ্রভু ত্রিরাত্রি রহিল ॥