গোবিন্দ দাসের করচা ২৯ প্রভু বলে পন্থ তুমি সাধু মহাশয়। • তোমারে দেখিয়া সব পাপ হৈল ক্ষয় ॥ গৃহস্থের স্তায় তুমি নহ গৃহবাসী। তুমিত পরম সাধু বিরক্ত সন্ন্যাসী ॥ বিষয়ের কীট নহ গৃহস্থের ন্যায়। যাতে তাতে তুষ্ট দেখি তোমার হৃদয় ॥ পুত্র নাই কন্যা নাই নাহি তব জায়। বিযয়েতে মত্ত নহ নাহি কোন মায়া ॥ ধন্ত পন্থরাজ তুমি সাধু শিরোমণি। তোমারে দেখিয়া সুখী হইল পরাণি ॥ তৃণ তুল্য জ্ঞান করি বিষয় বিভব। এখনি ত্যজিতে পার যত আছে সব ॥ রমণীর সঙ্গে তুমি নাহি কর বাস। তাই আইলাম এথা মিটাইতে আশ ॥ শিষ্যগণে থাক তুমি সদাই বেষ্টিত। তোমাকে দেখিলে চিত্ত পুলকিত ॥ মায়ামোহে বদ্ধ ভূমি নহ সদাশয়। তুমিই সাধুর শ্রেষ্ঠ এই মন লয়। নীরবে শুনিয়া ভীল প্রভুর বচন । ভক্তিভাবে প্রণাম করিলা সেইক্ষণ ॥ প্রভুমুখে হরিনাম শুনি বার বার। উছলিল তার মনে ভক্তি পারাবার ॥ লোটায়ে পড়িল ভীল প্রভুর চরণে। কোলে করি প্রভু নাম দিলেন শ্রবণে । হরিনামে মত্ত হয়ে যত দম্যগণে । সেই বনে করিলেন আনন্দ কানন ॥ সেই দিন হৈতে পন্থ পরিল কেীপীন। হইল সাধুর শ্রেষ্ঠ জ্ঞানেতে,প্ৰবীণ । পাপ কৰ্ম্ম ছাড়ি পন্থ প্রভুর কৃপায়। হরিনাম করি সদা নাচিয়া বেড়ায় ॥ লইতে হরির নাম অশ্র পড়ে আসি । আনন্দে মাতিল সেই নবীন সন্ন্যাসী ॥ যত দক্ষ্য ছিল বনে সকলে মিলিয় । হরি হরি ধ্বনি করে কুকৰ্ম্ম ছাড়িয়া ॥ সবে মিলি সেই বনে আনন্দে মাতিল। প্রভু লাগি পাপ কৰ্ম্ম সকলে ছাড়িল ৷ পন্থভালে এইরূপে পবিত্র করিয়া । চলে মোর ধৰ্ম্মবীর আনন্দে ভাসিয় ॥ অনাহারে শীর্ণ দেহ চলিতে না পারে । তবু প্রভু হরিনাম দেন ঘরে শ্বরে ॥ সে দেশের লোক সব করে র্কাই মাই। তথাপি বিলান নাম চৈতন্ত গোসাই ॥ কোন অভিলাষ নাই আমার প্রভুর । যখন যেখানে যান সামগ্রী প্রচুর ॥ যেই জন প্রভুরে দেখয়ে একবার। চলিয়া যাবার শক্তি না হয় তাহার ॥ এমনি প্রভুর শক্তি কি কহিব আর। ভক্তিসাগরের বধ কাটিল আবার ॥ উথলিয়া ভক্তিসিন্ধু ডুবাইল দেশ । কেহ বা সন্ন্যাসী কেহ হৈলা দরবেশ ॥ বিরক্ত বৈষ্ণব কেহ হৈল৷ সেইখানে । আউল বাউল হয়ে নাচিছে প্রাঙ্গণে । এই ভাবে নামে মত্ত হয়ে প্রভু মোর। গড়াগড়ি দেন ভূমে হইয়া বিভোর ॥ জড় সম কখন থাকে না বাহা জ্ঞান। পুলকিত কলেবর কদম্ব সমান ॥ আধ নিমলিত চক্ষুঃ যেন মৃতদেহ। এমন জাশ্চর্য্য ভাব ন দেখেছে কেহ ॥ কাটা খোচা নাহি মানে পড়ে আছাড়িয়া । কি ভাবে কথন মত্ত না পাই ভাবিয়া ॥ ত্রিরাত্রি চলিয়া গেল বৃক্ষের তলায় । , অনাহারে উপবাসে কিছু নাহি খায় ॥ বহিছে হৃদয়ে দর দর অশ্র ধারা । শত ডাকে কথা নাই পাগলের পারা ॥
পাতা:গোবিন্দ দাসের করচা.djvu/১১৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।