J)e কতু গড়াগড়ি দেন উলাঙ্গ হইয়া । কোলে তুলি লহি মুহি যতন করিয়া ॥ চতুর্থ দিবসে এক রমণী আসিয়া । আতিথ্য করিলা তবে আটা চুণা দিয়া ॥ আর এক বৃদ্ধ নারী দুগ্ধ আনি দিল । আটা দুধে গুলি প্ৰভু ভোগ লাগাইল ॥ তথা হৈতে তিনক্রোশ আছয়ে মন্দির। গিরীশ্বর নামে লিঙ্গ স্থাপিত বিধির ॥ লোকে বলে বিশ্বকৰ্ম্ম মন্দির গঠিল । পিতামহ নিজ হস্তে শিৰ আরাধিল ॥ বড় এক বিশ্ববৃক্ষ আছে সেইখানে । পোয়াপথ জুড়িয়াছে শাখার বিতানে ॥ ফল নাহি ধরে বৃক্ষে শুনি এই বাণী । হেরিলাম তথা গিয়া অশ্চর্য্য কাহিনী ॥ মন্দিরের তিন ভিত পৰ্ব্বতে বেষ্টিত । দক্ষিণ ভাগেতে বিহুবৃক্ষ বিরাজি ত ॥ নিজ হস্তে বিল্বদল তুলি প্ৰভু মোর। অঞ্জলি দিলেন শিবে প্রেমেতে বিভোর ॥ তার পরে প্রেমে মত্ত হয়ে গোরারায় । আছাড়িয়া বিছাড়িয়া পড়িলা ধরায় ॥ কন্তু হাসি কভু কাল্লা পাগলের মত। দরদরে অশ্র হৃদে পড়ে অবিরত ॥ রোমাঞ্চিত কলেবর যেন জড় প্রায় । আশ্চর্য্য প্রেমের ভাব কহনে না যায় ॥ কোন ইচ্ছা নাই প্রভু মত্ত হরি নামে । কাটিল দিনেক দুই সেই শৈবধামে ॥ তৃতীয় দিবসে এক জটিল সন্ন্যাসী । পৰ্ব্বত শিখর হতে দেখা দিলা আসি ॥ মৌন ব্রতধারী সেই সন্ন্যাসী-প্রবর। পূজা করি চলি গেলা পৰ্ব্বতশিখর ॥ কিছু নাহি অঙ্গে তার একলি সন্ন্যাসী। র্তাহারে হেরিলে হয় বিষয়ী উদাসী ॥ গোবিন্দ দাসের করচা চেতনা পাইলে প্রভু সন্ন্যাসীর কথা । একে একে কহিলাম সব যথা যথা ॥ শুনিয়া দ্যাসীর কথা মোর গোর রায় । ধাইল পৰ্ব্বতপানে দেখিতে তাহায় ॥ পেছনে পেছনে ধাই আশ্চর্ষ্য হইয়া । ক্রমে উপনীত মোরা সেইখানে গিয়া ॥ পৰ্ব্বত উপরে উঠি দেখিবারে পাই । এক বৃক্ষতলে সেই সন্ন্যাসী গোসাই ॥ বস্ত্র নাই পাত্র নাই কিছু নাহি কাছে। দাণ্ডাইয়া থাকিলাম চৈতন্তের পাছে ॥ ধ্যানে মগ্ন দ্যাসিবর নাহি বাহা জ্ঞান । যে দেখে তাহারে সেই হয় পুণ্যবান । বিনয় করিয়া কত কহে গেরা রায় । তবু নাহি সন্ন্যাসীর ধ্যান ভঙ্গ হয় ৷ যোড়হাতে প্ৰভু তবে স্তব আরম্ভিল । তাহাতে সন্ন্যাসিবর চাহিতে লাগিল ॥ প্রভুরে দেখিয়া সেই সন্ন্যাসী ঠাকুর। হাসিয়া উঠিল মনে আনন্দ প্রচুর। কিজানি কিসের লাগি সন্ন্যাসী হাসিল । ক্রমে প্রভু সন্ন্যাসীর পাশেতে বসিল ॥ মিলিল তথার দুই বিরক্ত সন্ন্যাসী । আতিথ্য লাগিয়া দ্যাসী হৈলা অভিলাষী । পরট নামেতে ফল আনি rযাগাইল । তার দুই ফল প্ৰভু গ্রহণ করিল ॥ মোরে দিলা চারি ফল করিতে ভক্ষণ । প্রসাদ নহিলে মুঞি না করি গ্রহণ ॥ এত শুনি-প্ৰভু মোর চৈতন্য গোসাই। প্রসাদ করিয়া ফল দিলা মোর ঠাই ॥ বড় মিষ্ট সুধাসম পরটার ফল । ফল খেয়ে চিত্ত মোর হইল চঞ্চল ॥
পাতা:গোবিন্দ দাসের করচা.djvu/১১৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।