গোবিন্দ দাসের করচা মোহিত হয়েছে সবে অঙ্গের শোভায় । বিনা যত্নে পদ্মগন্ধ সদা কাল গায় ॥ যেজন তাহান প্রতি আঁখি মেলি চায়। তেজের প্রভাবে চক্ষু ঝলসিয়া যায় ॥ সাত দিন পরে ভর্গে কৃপা বিতরিয়া । চলিলা সন্ন্যাসী মোর ত্রিপাত্র ছাড়িয়া ॥ সহচর হয়ে ভর্গ পেছু পেছু ধায়। হাত ধরি ভৰ্গদেবে করিলা বিদায় ॥ লক্ষ লক্ষ লোক আসে প্রভুকে দেখিতে। কাতর না হন প্রভু কৃষ্ণনাম দিতে ॥ হরিনাম বিনা কেহ নাহি কহে আন । বহু কৃষ্ণভক্ত দেখি সকলে অজ্ঞান ॥ ক্ষেপা করিবোলা * বলে প্রভূরে সকলে । ক্ষেপাইতে কতলোক হরিবোল বলে । হরি বলি কতলোক পেছু পেছু ধায়। নাম শুনি প্ৰভু মোর ধূলা মাথে গায় ॥ হরিনামে গোরাচাদ উন্মত্ত হইয়া । গড়াগড়ি দেন কন্তু ধূলায় পড়িয়া ॥ যবে প্ৰভু ভৰ্গদেবে বিদায় করিলা । সৈই কালে বহুশিশু সে স্থানে আইলা । কেহ বলে ওরে ভাই সেই ক্ষেপা যায়। হরি হরি বলি সবে ক্ষেপাও ইহায় । আরম্ভিল ক্ষেপাইতে যত শিশুগণ । সেই সঙ্গে নচে প্রভু শচীর নন্দন ॥ কখন হাসেন কভু করেন ক্ৰন্দন। আছাড় খাইয়া কভু ধরায় পতন ॥
- রামেশ্বরের শিবমন্দিরে “হবিবোলা"র বিগ্ৰহ আছে । মৎপ্রণীত “চৈতন্য এ্যাও হিজ এঞ্জে" পুস্তক अहेया ।
లిన ক্রমে সব লোকজন কোথা গেল চলি । পথ মধ্যে পড়িল প্রকাও বনস্থলী ॥ নাম তার ঝারিবন পঞ্চাশ যোজন । তার মধ্যে প্রবেশিল শচীর নন্দন ॥ ভয় নাহি মনে মুড়ি পথে চলে যাই । আগে আগে চলে মোর চৈতন্ত গোসাই ॥ বৃক্ষতলে থাকি সেথা নাহি লোকজন । বৃক্ষফল খেয়ে করি ক্ষুধা নিবারণ ॥ কত যে আশ্চৰ্য্য ফল কহিব কেমনে ॥ অমৃত নিছিয়। থাই সে ফল যতনে । তিন দিন পরে এক সন্ন্যাসীর দল । পাইয়া বাড়িল বড় মোর কুতূহল ॥ সেই সঙ্গে মিলি মোরা যাই ধীরে ধীরে । একপক্ষ পরে আসি বনের বাহিরে ॥ বনের বাহিরে হয় শুদ্ধ রঙ্গধাম । সেই স্থানে গিয়া প্ৰভু দেন হরিনাম ॥ রঙ্গধামে নরসিংহ দেবের মূরতি । হেরিলে পাষগুচিত্তে উপজে ভকতি ॥ প্ৰহলাদ অঞ্জলি বান্ধি সম্মুখে তাহার। করিছেন প্ৰভু দৈত্যরাজের সংহার ॥ এমন মুরতি আমি কভু দেখি নাই । পাগল হইল হেরি চৈতন্ত গোসাই ॥ কতু পড়ে কভু উঠে শচীর নন্দন। কতু ধ্যানে মগ্ন প্রভু মুদিয়া নয়ন ॥ নৃসিংহ দেখিয়া প্রেম সাগর উথলে । আছাড় খাইয়া কভু পড়ে ভূমিতলে। কখন পাগল প্রভু এলোমেলো বকে। মুখদিয়া ফেনা উঠে ঝলকে ঝলকে ॥ কন্তু ঘৰ্ম্মজলে উত্তরীয় ভিজে যায়। কঁাপিয়া কঁাপিয়া কভু পতিত ধরায় ॥ কোথাকার পাগল এসেছে কেহ বলে । কেহ পড়ে আসিয়া প্রভুর পদতলে ॥