গোবিন্দ দাসের করচ অহঙ্কারে কিবা কাজ ওহে সাধু জন। বিচারে পণ্ডিত হয়ে কিবা প্রয়োজন। মরকেতে ঘর বান্ধে পাপাত্মা পণ্ডিত। এই কথা সবে বলে শাস্ত্রের লিখিত ॥ বহু শাস্ত্র জানিয়া যে হয় কামাচার। কি করিবে সেই মুখ করিয়া বিচার। অর্থ লাগি প্রবঞ্চনা করে যেই জন । নাহি বুঝে সে পাষণ্ড শাস্ত্রের বচন ॥ কামিনী কণক লাগি যার ব্যস্ত মন । বিড়ম্বনা হয় তার বেদ অধ্যয়ন ॥ মৎসর যাহার চিত্তে সদা খেলা করে। পিতৃপতি * নিজ হস্তে তার দণ্ড করে। হরিনামে গলে যায় যাহার হৃদয় । সেই ত পণ্ডিত বড় আমার নিশ্চয় ॥ হরিনাম করিতে আনন্দধারা বহে । যাহার নয়নে তারে সুপণ্ডিত কহে ॥ পড়িয়া শুনিয়া যার কৃষ্ণে নাই রুচি। সেই মুর্থ হয় ভাই সৰ্ব্বদা অশুচি ॥ শুনিয়া প্রভুর মুখে এতেক বচন । নিঃশব্দ হইয়া যোগী রহে কতক্ষণ ॥ বিরক্ত সন্ন্যাসী সব প্রভুরে বেড়িয়া । শুনিতে লাগিল বাণী অজ্ঞান হইয়া ॥ অবশেষে গোরাচাদ দুই বাহু তুলি। হরিনামে মত্ত হয়ে পড়িলেন ঢুলি । পড়িলা চৈতন্ত প্রভু আছাড় খাইয়া । পাথরের ঘায় গেল থুতনি কাটিয়া ॥ দর দর রক্তধারা পড়িতে লাগিল । যতনে পণ্ডিতবর তাহ মুছাইল ॥ পিতৃপতি-ষমরাজ । & 8S তিন দিন সেতুবন্ধে করিয়া কীৰ্ত্তন। বামে চলে মাধবীবন * করিতে দর্শন। মাধবীবনে থাকে এক মৌন ব্রতধারী। র্তাহারে দেখিতে যায় আমার ভিখারী ॥ আশ্চর্ষ্য রূপের ছটা সন্ন্যাসীর হয়। শ্বেতশৃএ ঢাকিয়াছে তাহার হৃদয় ॥ বড় বড় নখ পড়িয়াছে উলটিয়া । বসিয়া আছেন মৌনে উলাঙ্গ + হইয়া ॥ বস্ত্র দণ্ডকমণ্ডলু কিছু কাছে নাই। স্থির ভাবে হেরিলেন চৈতন্য গোসাই ॥ অতি শাস্তভাব তার মুদ্রিত নয়ন। বৃক্ষ তল গৃহ হয়, আকাশ বসন ॥ কোন বাঞ্ছা নাই তার মগ্ন তপস্তায় । জোড় হস্তে প্ৰভু মোর সম্মুখে দাড়ায় ॥ অনেক বিনয় স্তুতি চৈতন্ত করিলা । তথাপি সন্ন্যাসিবর ফিরে না চাহিলা ॥ তিন দিন পরে ভিক্ষণ আনি ফল মূল। যোগাইয়া যান যত উদাসীনকুল ৷ তিন দিন পরে সেই যোগিমহাজন। করেন আহার করি জীবন ধারণ ॥ | | i ধ্যান ভাঙ্গি যোগিবর ফিরে তাকাইলা । সেই কালে প্রভু কথা কহিতে লাগিলা ॥ কিছু নাহি বুঝে যোগী প্রভুর বচন। সংস্কৃত ভাষায় তবে করে আলাপন ॥ স্থিরভাবে শুনি বাণী যোগিমহাশয় প্রভূব সহিতে দুই চারি কথা কয় ॥
- রামায়ণে স্বত্রীবের অধিকারভুক্ত, ষে মধুবনের । বর্ণনা অাছে ইহা তাঁহাই কিনা বিবেচ্য।
+ উলঙ্গ' স্থানে অনেক স্থলেই উলঙ্গ পাঠ দুষ্ট হয়, যথা—“উলাঙ্গ হইয়া নাচে ঘন বহে শ্বাস” ২৪ পৃঃ ।