গৈাবিন্দ দাসের করচ ঘই চারি পণ্ডিত গোঁসাই তার সনে। উপনীত হইয়াছে শিক্ষার কারণে ॥ প্রভু কহে রাজা তুমি বড় ভাগ্যবান। ভাগবত জান তুমি কি কহিব আন ॥ নানা শাস্ত্রে সুপণ্ডিত তুমি বড় জ্ঞানী। রাধাকৃষ্ণ বিনা আমি কিছু নাহি জানি । লইতে কৃষ্ণের নাম প্রেম উপজিল। । দর দর অশ্র ধারা পড়িতে লাগিল ॥ কৃষ্ণ প্রেমে মত্ত প্ৰভু অমনি উঠিয়া । নাচিতে লাগিল দুই বাহ পশারিয়া ॥ গোরা বলে হরিবোল অজ্ঞান হইয়া । নাচিতে নাচিতে পড়ে মাছাড় খাইয়া ॥ পাছাড়িয়া * রাজা তবে প্রভুরে তুলিলা । সেই সঙ্গে মহারাজ মাতিয়া উঠিলা ॥ হরি বলি মহারাজ নাচিতে লাগিল । নয়নের জলে তার হৃদয় ভাসিল ॥ লোমাঞ্চিত কলেবর গুলকে পূরিল। ধুলায় পড়িয়া অঙ্গ ধূসর হইল । দেখিয়া রাজার ভক্তি আমার নিমাই । কোল দিয়া রাজারে বলেন এস ভাই ॥ হরি নামে যার চক্ষে বহে অশ্রুধারা । সেইজন হয় মোর নয়নের তারা ॥ দেখিয়া তোমার ভক্তি রাজ! মহাশয় । জুড়াল আমার প্রাণ জানিহ নিশ্চয় ॥ এত বলি মহারাজে বিদায় করিয়া । স্নান করিবারে প্রভু গেলেন চলিরা ॥ বহতর ফল মূল রাজা পাঠাইল । আহ্নিক করিয়া প্ৰভু ভোগ লাগাইল । লোক জন রাখি রাজা প্রভুর সেবায়। প্রফুল্প অস্তরে রাজধানী চলি যায় ॥ • •ाइक्लिब्रा-श्रृंग्रेष्मण श्लोकप्लाहेब्र । o 86. কেহ ফল মূল আনে কেহ আনে আটা। কেন্ড চুণা আনি দেয় অতিথির বাট ॥ বিশ্বম্ভর লাগি লোক করে হানাপান । * মাঝে মাঝে বহু লোক আসি দেয় থান ॥ যার যাহা ইচ্ছা হয় আনিয়া যোগায়। ভাল মন কিছু নাহি কহে গোর রায় ॥ পৰ্ব্বতে বেষ্টিত দেশ দেখিতে মুনীর। ঝরণার জল চলে অতি মনোহর । বড় বড় নিম্ববৃক্ষ চারিদিকে হয়। আশ্চৰ্য্য তাহায় শোভ কহনে না যায় ॥ রামগিরি । নামে গিরি আছে সেই খানে। আশ্চৰ্য্য মহিমা তার সকলে বাখানে ॥ সবে বলে রামচন্দ্র ইহার উপরে। সীতা সহ তিন দিন আসি বাস করে ॥ লঙ্কার সমর জিনি রাম গুণধাম । এই গিরিকুটে উঠি করেন বিশ্ৰাম ॥ সীতাসহ রামচন্দ্র ঠাকুর লক্ষ্মণ । এই খানে বিরাম করেন তিন জন ॥ শুনিয়া প্রভূর মনে লালসা বাড়িল । সেই স্থান দেখিবারে পর্বতে উঠিল ॥ যেই স্থানে রাম সীতা বিশ্রাম করিলা । সেই খানে মোর গোর। গিয়া প্ৰণমিল ৷ ভক্তিসহ সেই রামগিরি নিরখিতে । কতশত লোক উঠে প্রভুর সহিতে ॥ আড়ে দীঘে এই দেশ বড়ই বিস্তর। এক পক্ষকাল গেল তাহার ভিতর ॥ তার পর পয়োঞ্চি নগরে প্রবেশিলা । শিব নারায়ণ দেখি প্রফুল্প হইলা ॥
- হানাপান –ছুটাছুট, ব্যস্ততাপ্রদর্শন।
“রামগির্বাশ্রমেৰু” কালিদাস-মেঘদূত।