গোবিন্দ দাসের করচা এত বলি ভারতী গোসাই দৌড় দিল। তিন সঙ্গিসহ পুনঃ আসিয়া বসিল । চারিজনে বসিলা প্রভুর চারি ভিতে। এই রঙ্গ দেখি প্রভু লাগিল হাসিতে ॥ ভারতী বলিলা তুমি উড়াও হাসিয়া । মুহি যাহা বলি তাহা দেখ আলোচিয়া ॥ কে হয় উপাস্ত দেৰ বলহ আমারে। প্রভু বলে কৃষ্ণ ভিন্ন কি আছে সংসারে । ভারতী বলেন গুন শাস্ত্রের প্রমাণ । এক ব্ৰহ্ম সৰ্ব্বেশ্বর বেদের বাখান ॥ যেদিকে তাকাই দেখি সব ব্ৰহ্মময় । এ বাদের নিরাস বলহ কিসে হয় । প্রভু বলে বিচার না করিবারে জানি। মানিলাম সৰ্ব্বতত্বে তুমি হও জ্ঞানী। বিচারে বড়ই তুমি পণ্ডিত গোসাই। তোমার নিকটে হলো পরাস্ত নিমাই ॥ চাহ যদি জয়পত্র লিখে দিতে পারি। তোমার বিচারে আজি মানিলাম হারি ॥ এত শুনি যোগী করে খুটুর খাটুর। • প্রভু বলে ভক্তি কর তর্ক বহুদূর ॥ ভক্তিতে মিলায় কৃষ্ণ এইত বিচার। বেদ বেদান্তের মত কর ছার খার ॥ বহুশাস্ত্র আলোচিয়া বল কিবা ফল । কৃষ্ণ কিনা নাহি আছে দাড়াবার স্থল। এত ৰলি প্ৰভু মোর নয়ন মুদিল। লোমাঞ্চিত কলেবর ভক্তি উছলিল ॥ পড়িতে লাগিল অশ্র হৃদয় বাহিয়া। কেীপীনের গ্রন্থি ক্রমে যাইল খসিয়া ॥ থর খরি হৃৎকম্প শরীর ঘামিল । কৃষ্ণবলি ডাক দিয়া ঢুলিতে লাগিল । 8속 কৃষ্ণহে কোথায় অাছ প্ৰভু দয়াময়। ভক্তি বিতরিয়া কর বিশুদ্ধ হৃদয় ॥ এই কথা বলি প্ৰভু কান্দিতে লাগিল মনের আবেগ যেন দ্বিগুণ বাড়িল ৷ ভাল মন নাহি শুনে প্ৰভু বিশ্বম্ভর। ফুলে ফুলে কান্দিতে লাগিল নিরস্তর ॥ তমালের বৃক্ষ এক সম্মুখে দেখিয়া । কৃষ্ণ বলি ধেয়ে গিয়া ধরে জড়াইয়া ॥ এই ভাব দেখি যোগী আপন নয়নে। জড়াইয়া ধরে তবে প্রভুর চরণে ॥ যোগী বলে বিচার না করিবারে মাগি । উৎকণ্ঠ বাড়িছে মোর এবে কৃষ্ণ লাগি ॥ দেখিয়া তোমার ভাব নবীন সন্ন্যাসী । বিচার করিতে মুহি নাহি অভিলাষী। 喇 ੱਝ -অসন্তো ফুিপক্ষ অস্পষ্ট বাক্য। অপূৰ্ব্ব রতন ভক্তি দেহ মোর মনে। এই নিবেদন করি তোমার চরণে ॥ যোগীর এতেক বাণী শুনিতে না পায় । অশ্রু জলে প্ৰভু মোর পৃথিবী ভিজায় ॥ মহাভাবাবেশে অঙ্গ স্তম্ভিত হইল। সোণার দোসর * দেহ ধূলায় পড়িল ৷ কৃষ্ণ বলি পৃথিবীতে প্ৰভু গড়ি যায়। ধূলায় ধূসর অঙ্গ বিন্ধিল কাটায়। সম্মুখে বসিয়া যোগী কান্দির্তে লাগিল। অমনি তাহার প্রতি দয়া উপজিল ৷ ভারতীর ভক্তি দেখি পৃষ্ঠে দিলা হাত। পৃষ্ঠে হাত দিয়া বলে দুই চারি বাত ॥ • যোগীর হইল ভক্তি প্রভুর পরশে । মজিল তাহার মন কৃষ্ণ ভক্তিরসে। কেমন প্রভুর কৃপা কহনে না যায়। প্রেমে মত্ত হয়ে যোগী ধূলায় লুটায় ॥
- দোসর তুল্য। ’