ՀԵ গোবিন্দ দাসের করচা যোগী বলে তুমিই আমার কৃষ্ণ হবে। পুনঃ আসি প্ৰভু মোরে দেখা দিবে কবে । প্রভু বলে এহু বাণী না কহিও আর । বৃন্দাবনপতি কৃষ্ণ এই ত বিচার ॥ ভক্তি বিনা কৃষ্ণ তত্ত্ব না হয় উদয় । ভক্তিডোরে বাধা কৃষ্ণ জানিহ নিশ্চয় ॥ যোগী বলে বুঝেছি তোমার ভারি ভুরি । চক্ষে ধুলা দাও কেন করিয়া চাতুরী। ভক্তিডোরে আজি আমি তোমারে বাধিব খড়ম দুখানি আজি কাড়িয়া লইব ॥ ঈশ্বর ভাৱতী তবে এতেক বলিয়া । জোরে টানাটনি করে খড়ম ধরিয়া ॥ প্রভু বলে কৃষ্ণে তুমি করহ বিশ্বাস । আজি হৈতে তব নাম হইল কৃষ্ণদাস ॥ . এত বলি চলে প্ৰভু ছাড়ি চগুপুর। যোগিবর সঙ্গে সঙ্গে আসে বহুদূর ॥ . হাসিয়া যোগীরে প্রভু করিল। বিদায় । প্রণাম করিয়া তবে যোগিবর যায় ॥ দুই দিবা রাত্র যায় পৰ্ব্বত ভেদিয়া । তার মধ্যে গ্রাম পুরী না পাই খুজিয়া ॥ বড়ই দুর্গম পথ চলিতে না পারি। কেবল কদম্বরুক্ষ দেখি সারি সারি ॥ কদম্বের গাছ দেখি প্ৰভু মোরে বলে । মোর কৃষ্ণ কেলি করে এই বৃক্ষ তলে । এত বলি কান্দিয়া আকুল প্ৰভু মোর। ছলিতে ছলিতে চলে কৃষ্ণ প্রেমে ভোর ॥ চলিতে চলিতে দেখি ক্ষুদ্র জলাশয় ॥ সেইখানে এক ব্যাঘ্র দেখে হর ভয় ॥ ইঙ্গিত করিয়া ব্যন্ত্র প্রভুরে দেখাই । ভালমনা প্রভুমুখে শুনিতে না পাই ॥ জলপান করিতেছে ব্যাঘ্র সেই স্থানে। প্রভুপার্থে গুড়ি গুড়ি যাই সাবধানে ॥ চলিলা ডাইনে গোর ব্যাঘ্র রাখি বামে আবেশে অবশ অঙ্গ মত্ত হরিনামে ॥ ফিরে না চাইল ব্যাঘ্র মোদিগের প্রতি । পিছনে তাকাই আর চলি দ্রুতগতি ॥ মোর ভাবগতি দেখে ঈষৎ হাসিয়া । বলে প্ৰভু ভয় কর কিসের লাগিয়া ॥ হরিনাম বলে নাহি রহে যমভয় । ক্লঞ্চ কৃষ্ণ বলি ডাক না কর সংশয় ॥ এই কথা শুনি মোর শক্তি সঞ্চারিল। শরীরের বল যেন দ্বিগুণ বাড়িল ৷ চলিতে চলিতে এক ক্ষুদ্র পল্লীপাশে । উপনীত হইলাম আশ্রমের আশে ॥ অতি অজ্ঞাত পল্পী সব দুঃখী অধিবাসী। সেইখানে গিয়া বসে নিমাই সন্ন্যাসী ৷ পৰ্ব্বতে বেষ্টিত পল্লী দেখিতে সুন্দর। ভিক্ষণ লাগি যাই আমি গ্রামের ভিতর ॥ বড়ই দরিদ্র হয় একই ব্রাহ্মণ । ভিক্ষা করি কোনরূপে কাটায় জীবন ॥ ভিক্ষা করিবারে আমি তার গৃহে যাই । বিপ্র বলে ক্ষণেক অপেক্ষা কর ভাই ॥ কিছুক্ষণ বৈস এথা ফিরে না যাইবে । অতিথি ফিরিলে মোর নরক হইবে ॥ ভিক্ষণ মাগি এনে দিব ভিক্ষা তব ঠাই । কিছুকাল এখানে অপেক্ষ কর ভাই ॥ এত বলি সেই বিপ্র ভিক্ষায় চলিল । দুটা নারিকেল আনি মোরে ভিক্ষণ দিল ভিক্ষ আনি প্রভূরে যোগাই বৃক্ষতলে । ফলভোগ লাগাইলা প্রভু কুতুহলে। ব্রাহ্মণের কথা শুনি মোর গোর রায় । সন্ধ্যার সময়ে বিপ্রে দেখিবারে যায় ॥ ব্রাহ্মণ ব্রাহ্মণী ফুট থাকে সেই স্থানে। গোপালের সেবা লাগি ভিক্ষণ মেগে আনে । আপনার ঘরে বিপ্র প্রভূরে দেখিয়া । জোড়হন্তে फ्राशू সম্মুখে আসিয়া।
পাতা:গোবিন্দ দাসের করচা.djvu/১৩৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।