গোবিন্দ দাসের করচ - ○○ সেই কৃষ্ণ লাগি মোর ব্যাকুল অন্তর। কৃষ্ণ বিনা প্রাণ মোর হয়েছে কাতর ॥ একজন পণ্ডিত বলিলা আসি কাছে। এই সরোবর মধ্যে তব কৃষ্ণ আছে ৷ এই বাণী শুনি প্ৰভু চমকি উঠিলা । লোমাঞ্চিত কলেবরে উঠে দাণ্ডাইলা ॥ এমন অঞর বেগ কভু দেখি নাই । কৃষ্ণের বিরহে কেঁদে আকুল নিমাই ৷ কৃষ্ণ বগি ফুলে ফুলে কান্দিতে লাগিল । বলে কৃষ্ণ বিনা প্রাণ বিফল হইল ॥ অশ্রুজলে ভিজাইলা পৃথিবীর কোল । কান্দিতে কান্দিতে মুখে বলে হরিবোল । একবার বলে মোরে একি বিড়ম্বন । কৃষ্ণ বিনা আর প্রাণে সহেন যাতন ॥ পুনরপি সেইজন বলে ত আসিয়া । সন্ন্যাসী তোমার কৃষ্ণ জলে লুকাইয় ॥ এইবারে মহাপ্রভু শুনি তার বাণী । প্রেমাবেশে জলে ঝাপ দিলেন অমনি ॥ সরোবর মধ্যে পড়ি বহুতর লোক । ডাঙ্গায় প্রভুরে তুলি করে নানা শোক । যেইজন বলেছিল কৃষ্ণ অাছে জলে। সমস্ত পণ্ডিত তারে মন্দ কথা বলে ॥ প্রভু বলে কেন বৃথা ভৎস মহারাজে। জলে স্থলে শূন্তে কৃষ্ণ নিয়ত বিরাজে । আশে কৃষ্ণ পাশে কৃষ্ণ কৃষ্ণ জগময়। সেই দেখিবারে পায় যেই ভক্ত হয় ॥ ভক্তিই পরম তত্ত্ব সংসার ভিতরে । ভক্তিমান মুক্তি শিরে পদাঘাত করে ॥ যেজন মায়ার চক্ৰ বুঝিতে না পারে। ৰড়ই দুর্ভাগ্য সে হয় এ সংসারে ॥ মিছা ছিটা + মিছা ভিটা মিছা বাড়ী ঘর। খাবার লাগিয়া মূৰ্খ বিকল অন্তর ॥ কেবা আত্মপর হয় কে বা পিতা মাতা । কার গলে হাত দিয়া বল তুমি ভ্রাতা ॥ স্ত্রীপুরুষে ভেদ নাই চৰ্ম্মগত ভেদ । { এই কথা পুনঃ পুনঃ বলিতেছে বেদ ॥ মোহ অন্ধকারে জীব আপনা পাশরি । বদনেতে একবার নাহি বলে হরি ॥ নশ্বৰ্য্যের মিছা গৰ্ব্ব না করিও ভাই । হরেকৃষ্ণ বলি কাল কাটাও সদাই ॥ এই বিশ্ব ঢাকিয়াছে পাপ অন্ধকারে। হরি ভিন্ন কিছু সত্য নাহিক সংসারে । পাখী দুট দেহবৃক্ষ যেদিন ছাড়িবে। সেইদিন জড় দেচ পড়িয়া রহিবে । জাগিয়া স্বপন আর কেন দেখ ভাই । কেহ না বাচিবে চির মরিবে সবাই ॥ এস ভাই সবে মিলে হরিধ্বনি করি । নাম শুনে কৃতাস্ত কঁাপিবে থর হরি ॥ বড়ই প্রভাবী রাজাধিরাজ সম্রাট । একদিন অবগু ভাঙ্গিবে রাজ্যহাটু ॥ রাজ্য করে মহারাজ আপনার দাপে । তবে কেন তার চিত্ত দহে তিন তাপে ॥ বহুমূল্য মণিমুক্ত সঙ্গে নাহি যাবে। অসার অনিত্য ধন বুঝ অন্তভাবে ॥ ভক্তিসহ হরে কৃষ্ণ বল ভাই মুখে । সকলে থাকিবে তবে সদানন্দ মুখে ॥ মায়ায় মোহিত হয়ে ভুলিয়াছ সব। কিসের লাগিয়া সবে করন্থ গৌরব ॥
- তিটা ? + "অভেদ পুরুষ নারী যে দিন জানিবে। সেদিন প্রেমের তত্ত্ব হৃদয়ে স্ফরিবে ।
করচ ৯ পৃষ্ঠা