পাতা:গোবিন্দ দাসের করচা.djvu/১৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গোবিন্দ দাসের করচ, নষ্ট হৈল সব দ্রব্য নাহি কর ভয় । পুনঃ যোগাইব আনি এই দ্রব্য চয় ॥ এক পার্থে দাড়াইয়া নরোজী মোপনি। এক দৃষ্টে চেয়ে দেখে গোর গুণমণি ॥ প্রভুর নয়ন বাহি অশ্রদ্ধারা বহে। পুতুলের প্রায় সবে দাড়াইয়া রহে ॥ এই কথা শুনি ক্রমে ডাকাতের দল। একে একে দেখা দিল ছাড়ি বনস্থল ৷ অপরাহ্ল কালে মোর গোরা গুণমণি । প্রেমে মুরছিত হয়ে পড়িলা ধরনী । প্রেমে গদগদ তন্থ ধূলায় ধূসর। অশ্রুধার হৃদয়েতে পড়ে দর দর ॥ কান্দিয়া নারোজী বলে শুনহ সন্ন্যাসী । কি মন্ত্ৰ পড়িলে তুমি বলহ প্রকাশি ॥ দেখিয়া তোমার ভাব হয় মোর মনে । আর না করিব পাপ থাকি এই বনে ॥ ষাটি বর্ষ বয়ঃক্রম হয়েছে আমার। পাপ কাৰ্য্য না করিব ছাড়িব সংসার ॥ অতি জ্বরাচার আমি ব্রাহ্মণতনয়। মোরে পদধূলি দিতে না কর সংশয় । পুত্রকন্ত নাহি মোর নাহিক সংসার। তবে কেন পাপ কৰ্ম্ম করি আমি আর ॥ উদর পোষণ হয় লোকে ভিক্ষা দিলে। তবে কেন থাকি মুহি দস্থ্যসহ মিলে। বড় ঘৃণা হইয়াছে কুকৰ্ম্মের প্রতি । আর না রহিব মুহি দস্থ্যদলপতি ॥ এত বলি নারোজী দলের প্রতি চায়। অস্ত্ৰ শস্ত্র সেই দণ্ডে টানিয়া ফেলায় ॥ প্রভু কহে মারোজী আমার কথা শুন। আর কত কহিব তোমারে পুনঃ পুনঃ ॥ কৌলীন পরিয়া কর লজ্জা নিবারণ। মাদিয়া ৰাচিয় কর উদর পোষণ ॥ yo কাহার লাগিয়া অর্থ করুহ সঞ্চয়। পিতা মাত ভাই বন্ধু কেহ কার নয়। এক মুষ্টি অন্নে যদি দেহরক্ষা হয়। তবে কেন পাপে কর অর্থের সঞ্চয় ॥ অঞ্জলি পাত্রেতে পিয় ঝরণার জল । বহু পাত্র সংগ্ৰহ করিয়া কিবা ফল ॥ কুবের সমান যত আছে ধনিগণ । একদিন প্রেতপুরে করিবে গমন। যে পথে দরিদ্র যাবে এ দেহ ত্যজিয়া । অবশু সম্রাট যাবে সেই পথ দিয়া ॥ আমার আমার করি বৃথা কেন মর। প্রেম ভক্তি সহ ভাই হরিনাম কর ॥ এই উপদেশ শুনি নারোজী ব্রাহ্মণ । আমাদের সঙ্গে চাহে করিতে গমন ॥ নারোজী কহিলা সব তীর্থ দেখাইব । তীর্থে তীর্থে আপনার পেছনে যাইব ॥ এত দিন চক্ষু অন্ধ ছিল ভ্রাস্তি ধূমে। আজি হৈতে অস্ত্ৰ শস্ত্র ফেলিলাম ভূমে ॥ এই হস্তে কত নরহত্যা করিয়াছি । এই মুখে কত জনে কটু বলিয়াছি ॥ আর না রহিব মুহি ডাকাতের পতি। কি পথ দেখালে মোরে অগতির গতি ॥ জঙ্গলের মধ্যে থাকি সদা লুকাইয়া । পাপে দেহ জর জর না দেখি ভাবিয়া ॥ এত বলি দম্পতি সব তেয়াগিয়া। চলিল প্রভুর সঙ্গে কেীপীন পরিয়া ॥ কে কোথা চলিয়া গেল তবে দস্যগণ । নারোজী মোদের সঙ্গে করে আগমন ॥ তার পরে চোরানী কানন হইতে। যাত্রা করি চলে প্রভু খণ্ডলা দেখিতে ॥ মূলানদী বহে এখা অতি বেগবতী। খণ্ডলায় গিয়া প্রভু কহে মোর প্রতি ॥