পাতা:গোবিন্দ দাসের করচা.djvu/১৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গোবিন্দ দাসের করচা শূৰ্পণখা রাক্ষসীর নাসিক ছেদন। । এই স্থানে করেছিলা ঠাকুর লক্ষ্মণ । ইহার উত্তর ভাগে ত্রিমুকের কাছে। রামের কুটার ক্ষেত্র বিদ্যমান আছে। সেই খানে মহাপ্রভু করিয়া গমন । স্তব স্তুতি করি শেষে করিলা কীৰ্ত্তন ॥ রামের চরণচিহ্ন আছে এই খানে । ইহা শুনি ধাইয়া চলিল বন পানে ॥ নিবিড় বনের মধ্যে ঝরণার ধারে । চরণ দুখানি শোভে প্রস্তর উপরে ॥ চরণের চিহ্ন প্রভু করিয়া পরশ । গাঢ়তর প্রেমভরে হইল অবশ ॥ পুলকে মাথার জটা নাচিয়া উঠিল। সেই ক্ষীণ দেহ যেন ফুলিতে লাগিল ॥ প্রভু বলে কোথা রাম প্রাণের ঈশ্বর। হৃদয়ে দেখা দিয়া জুড়াহ অন্তর ॥ অবশেষে মোর কণ্ঠ অঁাকড়ি ধরিয়া । কোথা মোর রাম বলি উঠিল কান্দিয়া ॥ পদ্মগন্ধ বাহিরিছে প্রভুর শরীরে। সমীরণ বহিতে লাগিল ধীরে ধীরে । কি কব প্রেমের কথা কহিতে ডরাই । এমন আশ্চৰ্য্য ভাব কভু দেখি নাই ॥ কৃষ্ণহে বলিয়া ডাকে কথায় কথায় । পাগলের স্তায় কছু ইতি উতি চায় । কি জানি কাহারে ডাকে আকাশে চাহিয়া । কখন চমকি উঠে কি যেন দেখিয়া ॥ উপবাসে কেটে যায় দুই এক দিন । अग्न ना थाहेब्र ८मझ् इहेब्रां८छ् श्रौभं ॥ তার পরে পঞ্চবটী করিয়া প্রবেশ । লক্ষণের প্রতিষ্ঠিত দেখিলা গণেশ ॥ একদিন ওহামধ্যে পঞ্চবটী বনে । ভিক্ষ হতে এসে মুহি দেখি সঙ্গোপনে ॥ ởà নিথর নিঃশব্দ সেই জনশূন্তরন। মাঝে মাঝে বাস করে দুই চারি জন । ঝিম ঝিম করিতেছে বনের ভিতর। চক্ষু মুদি কি ভাবিছে গৌরাঙ্গ সুন্দর। অঙ্গ হৈতে বাহির হয়েছে তেজরাশি। ধ্যান করিতেছে মোর নবীন সন্ন্যাসী ॥ এই ভাব হেরে মোর ধাধিল নয়ন। গুড়ি গুড়ি কাছে যাই করিতে দর্শন ॥ নারোজী গিয়াছে কোথা ফল আনিবারে। দাণ্ডাইয়া রহিলাম মুহি এক ধারে । পদশব্দ পেয়ে প্রভু যেন আচম্বিতে । সব ভাব সংবরিল দেখিতে দেখিতে ॥ কোথা হতে ফল মূল নারোজী আহরি। দাড়াইলা সম্মুখেতে জোড় হাত করি ॥ ভোগ দিয়া কিঞ্চিৎ থাইয়া গোর রায় । বসিয়া বসিয়া সব রজনী কাটায় ॥ পঞ্চবটী তেয়াগিয়া মোর গৌর হরি। প্রভাতে চলিয়া যায় দমন নগরী ॥ একদিন দমন নগরে না রহিল। দমন ছাড়িয়া প্রভু উত্তরে চলিল । তার পর পক্ষকালে ভ্ৰমিয়া ভ্ৰমিয়া । পথে পথে কাটাইল গোর বিনোদিয়া ॥ সুরথ প্রতিষ্ঠিত অষ্টভুজার মন্দির ক্রমে ক্রমে স্বরথের রাজ্যে চলি যায়। অষ্টভুজা দেখি প্ৰভু ধরণী লুটায় ॥ অষ্টভূজা ভগবতী দেখিয়া নয়নে। তিন দিন বাস করে প্রভু সেই খানে ॥ অষ্টভূজা প্রতিষ্ঠিত স্বরথ রাজার। ভগবতী দেখে হৈল আনন্দ অপার ॥ দেবীর মন্দিরে ছিল একই সন্ন্যাসী। প্রভুরে পুছিতে কিছু হৈলা অভিলাৰী ॥ "