পাতা:গোবিন্দ দাসের করচা.djvu/১৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গোবিন্দ দাসের করচা عنها কোটি বিয় যেই জন তৃণ সম গণি । প্রেমে মত্ত হয় তারে ভক্ত বলি মানি ॥ প্রেম ভক্তি সার তত্ত্ব শ্রুতি ইহা কহে । প্রেমে মত্ত হরিভক্ত মুক্তি নাহি চাঙ্গে । প্রেন ভক্তি হয় ধার কণ্ঠের ভূষণ । নিত্য পরিকর হয় কৃষ্ণের সে জন ॥ " কৃষ্ণপ্রেম শিখরিণী • যে করে আস্বাদ । সেবিতে তাহার পদ না করি বিবাদ ॥ এই দেহে যেই জন কাটিয়া বন্ধন। কৃষ্ণপ্রেমে মত্ত হয় ঠাকুর সেজন ॥ মহামায়া জ্ঞানচক্ষে ধূলি প্রক্ষেপিয়া । দিয়াছে চৈতন্তে জড়ে গ্রন্থি লাগাইয়া ॥ সে কারণ মুর্থ লোক এই চরাচরে। মুগ্ধ হয়ে জড় দেহে আত্মবুদ্ধি করে । জড় দেহে অভিমান ছাড়ে যেই জন । মাথার ঠাকুর সেই বেদের কথন ॥ কৃষ্ণ প্রেমে নিমগন পরম বৈষ্ণব । বহু গণ্ডগোল করি না করে কৈতব ॥ বেদান্তের মুখ্য অর্থ যেই নাহি জুনে । সেই জন জীব ব্রহ্মে এক করি মানে ॥ এত বলি পর দিন গোরা বিনোদিয়া । চলিলা পশ্চিম ভাগে নগর ছাড়িয় ॥ কিছু দূর গিয়া দেখি নদী শুভ্ৰামতী । 輯 尊 橡 来 事 | নদী পারে গিয়া দেখি দুই চারি জন । দ্বারকায় যাইতেছে তীর্থের কারণ ॥ দেখিলাম তার মধ্যে বাঙ্গালি দুজনে । भशखङ ब्र[भानन्त। গোবিন্দ চরণে ॥ বহু কাল পরে গৌড়বাসীরে দেখিয়া। আনন্দে মানস যেন উঠিল নাচিয়া ॥ बिहे जवा । ।

পুছিলাম রামাননে কোথা তব ঘর। রামাননা বলে ভাই কুলীন নগর । শুভ্ৰামতী নদী মধ্যে প্রভু করে স্নান। হেন কালে রামানন্দ করে আলাপন ॥ রামানন্দ বলে তুমি চলেছ কোথায়। মুহি বলি প্ৰভু সঙ্গে যাই দ্বারকায়। চৈতন্ত দেবের নাম রামানন্দ শুনি । প্রফুল্ল বদন যেন হইল অমনি ॥ ধাইয়া গিয়া রামাননা প্রণাম করিল। দুই চারি বাত তারে চৈতন্ত পুছিল ৷ পরম বৈষ্ণব হয় রামানন্দ দাস । রামানন্দ দাসে প্রভু দিলেন আশ্বাস ॥ প্রভু বলে রামানন্দ তোমারে দেখিয়া । , গৌড়ের ভাব মনে উঠিল জাগিয়া ॥ কত দিন গৃহত্যাগ করিয়াছ তুমি। কত দিন আসিয়াছ এই পুণ্যভূমি। চল তবে এক সঙ্গে দ্বারক যাইব । আনন্দে দ্বারকাধীশে সকলে হেরিব ॥ এত শুনি প্রভুমুখে রামানন্দ দাস । থাকিতে প্রভুর সঙ্গে পাইল উদাস ॥ সিনান করিয়া প্ৰভু ধীরে ধীরে যায়। ঘোগ নামে গওগ্রামে আসিয়া পৌছায় ॥ বারমুখী নামে বেগু| থাকে এই ঠাই । * তাহার ধনের কথা কহিবারে নাই ॥

  • ভক্তমালে এই বারমুখীর বিষয় উল্লিখিত আছে।

নাভাজি এই গণিকার কথা প্রায় ঠিক রূপই শুনিয়াছিলেন, কিন্তু চৈতন্যদেবের নাম যোগ অঞ্চলের লোক জাণিত না, কিংবা মনে রাখে নাই, এই জগু. : তাহাকে ভক্তমাল প্রণেতা মাভাজি শুধু বৈষ্ণব মহাপ্ত * শিখরিণী-অমৃত, দধি মিশ্রিত একরূপ স্বগন্ধ বলিয়াই উল্লেখ করিয়াছেন। এক দল বৈষ্ণব তাহার বাগিচায় গিয়াছিলেন, এরূপ ভক্তমালে লিখিত আছে৷