\b8 - গোবিন্দ দাসের করচা বেখাবৃত্তি করি সাধিয়াছ বহু ধন। বহু মুল্য হয় তার বসন ভূষণ ॥ প্রকাও বাড়ীর মধ্যে বারমুখী থাকে। হরিতে ধনীর ধন ফিরে পাকে পাকে ॥ বাস্তবিক চৈতন্তদেবের সঙ্গে তখন শুধু গোবিন্দ কৰ্ম্মকার ছিলেন না, কুলীন গ্রামবাসী গোবিন্দচরণ ও রামানন্দ বসুও ছিলেন । ইহঁর সকলেই বৈষ্ণব ছিলেন, সুতরাং বৈষ্ণব দলের কথা যে তিনি লিখিয়াছিলেন, তাহ ঠিকই লিখিয়াছিলেন। সন্ন্যাসীর নাম গোত্র কেহ জিজ্ঞাসা করে না । এজঙ্ক অজ্ঞাত দেশে চৈতন্যদেবের নাম অবিদিত ছিল, কিংবা জানা থাকিলেও পরবর্তী জন-শ্রুতি তাই স্মরণ করিয়া রাখে নাই । করচার প্রতিবাদী দল বলিতেছেন কেহ ভক্তম{ল হইতে বিবরণটি লইয়া তাহ করচার জুড়িয়া দিয়াছে। যদি চরিতামৃত কিংবা অন্ত বৈষ্ণব গ্রন্থের সঙ্গে বর্ণনা মিলিয়। ষায়, তবে ভাষার অনুমান করেন যে, করচ সেই বিবরণগুলি নকল ਜਿ, যদি গরমিল হয় তবে বলেন, করচা খাটি মহে। তাহদের যুক্তি অনেকটা শার্থের করাতের স্ত্যায়, যাইতে আসিতে দুই দিকেই কাটে। নকল-বাজ কোন প্রাচীন পুস্তক হইতে বিবরণ সংগ্ৰহ করিতে পারে। কিন্তু প্রচলিত প্রসিদ্ধ গ্রন্থের সঙ্গে বর্ণন গরমিল করিবার সাহস তাহার থাকা স্বাভাবিক নহে। ভক্তমালের বর্ণনার চৈতন্তের সহিত বারমুখীর সাক্ষাতের পরের ঘটনাও কিছু আছে। আমরা নাভাজির অনুবাদক কৃষ্ণদাসের বিবরণটির কতকাংশ নিয়ে উদ্ধত করিয়া দিতেছি – “বেখ্যা এক হয় অতি ধনাঢ্য সুন্দরী। পুত্বর্ণী বাগিচা বেড়া ভূত্য সহচরী ॥ অনেক বৈষ্ণবগণ ভ্ৰমিতে ভ্ৰমিতে । উত্তরিলা একদিন তার বাগিচাতে ॥ জলে স্থলে অতি পরিস্কার দেখিয়া । তৃপ্ত হৈল সাধুগণ স্বচ্ছায় পাইয়া ॥ বারমুখী নিজ গৃহ বালাখান হৈতে। ঋরকাতে উকি মারি লাগিল দেখিতে ॥ পেশয়াজি পরিধানে ডগমগি চায়। কত শত কামাচার তার গৃহে যায় ॥ বহু দাস দাসী লয়ে থাকে এই খানে । 'জাক পশারের কথা সৰ্ব্ব লোকে জানে ॥ আহা কি আশ্চর্ঘ্য যার নাহিক উপমা । বৈঞ্চব দরশনে যে কতেক মহিমা ॥ 宰 掌 率 * 率 অতএব ছি চি মুই ত্যজি হেন অর্থ। দেহ পণ করিব নিতান্ত পরমাৰ্থ । এতেক চিন্তিয়া বেগ অমনি উঠিল । খলি ভরি এক থাল মোহর লইল ॥ চলিলেন ধীরে ধীরে মহস্তুের স্থানে । গৃহ হইতে নিকশিয়া যথা সাধুগৰে ॥ পরম হুন্দরী রত্ন ভূষণে ভূষিত । থমকিয়া চলিল কামিনী মনোনীত ॥ x: 's sk sk * তবে নিজ পরিচয় যথার্থ কহিল । মহাপ্ত কহয় তব হউক ভাল ভাল ॥ কৃষ্ণে যদি মতি তব ঐকাস্তিক হয়। তবে তো কৃতাৰ্থ তুমি চিন্তা কি আছয় ॥ এক পরামর্শ আমি কহি যে তোমারে। তোমার মানদ পূর্ণ হইবে অদূরে । মোহরের থলি রঙ্গনাথের চরণে । রাখিয়া শরণ লও গিয়া কায়মনে ॥ অবষ্ঠা করিবে দয়া ঠাকুর তোমারে। বারমুখী কহিল উপেক্ষ কেন মেয়ে ॥ কান্দিতে কান্দিতে মোহরের খলি লৈয়। চলিলেন আপনাকে ধিঙ্কার করির ॥ রঙ্গনাথ ঠাকুর সিন্ধুকে বলি রাখি। কান্দরে বিলাপ করি বদন শিরথি । বেষ্ঠা বলি পুজারী সে দ্রব্য না লইল । চুড়া বানাইয়া দেহ পশ্চাৎ কহিল ॥ ঘয়েতে যাইয়া বহু অর্থ ব্যয় করি। নানা রত্ন চুরি অার মণি মুক্ত কুরি ।
পাতা:গোবিন্দ দাসের করচা.djvu/১৫৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।