গোবিন্দ দাসের করচ ঈষৎ হাসিয়া তবে চৈতন্ত আমার । সোমনাথ পরিক্রম করে তিন বার ॥ মুহি রামানন্দ আর গোবিন্দ চরণ। প্রভুর সহিত করি হরি সংস্কীৰ্ত্তন ॥ সোমনাথ ঠাকুরের প্রীতির লাগিয়া । কীৰ্ত্তন করেন প্ৰভু প্রেমেতে গলিয়া ॥ দুই চারি জন পাও| আসিয়া মিলিল । আমাদের কাছে কিছু মাগিতে লাগিল ॥• হাসিয়া বলিয়া প্রভু সন্ন্যাসীর ঠাই । টাকা কড়ি অন্নবস্ত্র কিছু দিতে নাই ॥ এই বাত শুনি কাণে গোবিন্দ চরণ । দুই মুদ্রা পাও হস্তে করিলা অর্পণ ॥ পবিত্র কুণ্ডের ধারে পাণ্ডা লয়ে যায়। জল লয়ে প্রভু মোর দিলেন মাপায় ॥ সোমনাথ ছাড়ি মোরা জুনাগড়ে যাই। বড় গ্রাম বটে কিন্তু কোন তীর্থ নাই ॥ চারি দিকে বহু অট্টালিকা শোভা পায়। জুনাগড়ে দুদিন কাটে গোরা রায় ॥ রণছোড় জীর সেবা আছে এক ঠাই। সন্ধ্যাকালে দর্শন করিতে তথা যাই ॥ মিরাজী নামেতে বিপ্রবর সেবা করে। মোর গিয়া উপস্থিত হই তার ঘরে ॥ ভক্তি সহ মিরাজিউ আদর করিল। তাহার বাড়িতে প্রভু রজনী যাপিল ॥ গুগ্ধ চিনি আটা আনি ব্রাহ্মণ যোগায়। আনন্দ করিয়া প্ৰভু রজনী কাটায় ॥ নিকটে গৃণার গিরি অতি মনোহর। তাহার নিকটে যায় প্রভু বিশ্বম্ভর । মিরাজী নিকটে আসি ভক্তিসহকারে। প্রভূরে থাকিতে বিপ্র কহে বারে বারে । বিনয় করিয়া প্রভু ব্রাহ্মণেরে বলে। গৃণার পাহাড়ে মোরা যাইব সকলে । o | l গুরুদত্ত চরণ দেখিব সেই খানে । ছেড়ে দেহ এই ভিক্ষ চাহি তব স্থানে। শুনিয়া প্রভুর কথা বিপ্র মহাশয় । ভাল মন্দ আর কোন কথা নাহি কয় ॥ যাত্রা করি বাহিরায় চৈতন্ত গোসাই । ছায়ার মতন মোরা পিছে পিছে যাই ॥ একদল সন্ন্যাসী আসিয়া এইখানে । বসিয়া আছেন সবে বিরস বয়ানে ॥ ভৰ্গদেব নামে র্তাহাদের দলপতি । পীড়িত হইয়া তথা করেন বসতি ॥ বৃক্ষতলে ভৰ্গদেব ছটফট করে । উপনীত হৈলা প্ৰভু সেখানে সত্বরে ॥ ভৰ্গদেবে পীড়িত দেখিয়া গোর রায় । আমারে আদেশ করে তাহার সেবায় ॥ মুহি রামানন্দ আর গোবিন্দ চরণ । রোগীর সেবায় লেগে যাই তিন জন ॥ প্রভু কহে নিম্বরস পিয়াইতে তারে । নিম্বরস করি মোবা পিয়াই তাহারে ॥ রোগ হৈতে ভৰ্গদেব পেয়ে অব্যাহতি । প্রভুর চরণে করে অসংখ্য প্রণতি ॥ ভৰ্গদেব উঠিয়া প্রভুর স্তব করে। • হাত কচালিয়া ভৰ্গ বলে ভক্তিভরে ॥ মোরে কৃপা কর প্রভু তুমি দয়াময়। তোমার লাগিয়া ব্যগ্র হতেছে হৃদয় ॥ অধমেরে রোগ হৈতে করিলে নিস্তার। কৃপা করি মায়া-পাশ কাটহ আমার ॥ কার কাছে ফাকি দেহ নবীন সন্ন্যাসী। তোমার চরণ পেতে মুহি অভিলাষী ॥ ক্ষুদ্র জনে দয়া যদি নাহি করা হয়। তবে কেন তোমারে কহিব দয়াময় ॥ বৃদ্ধ হইয়াছি মুহি নয়নের ভুল। তোমার হৃদয়ে দেখি সোণার পুতুল । ৬৯
পাতা:গোবিন্দ দাসের করচা.djvu/১৫৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।