१ॐ গোবিন্দ দাসের করচ সকলে তোমারে কহে সোণার বরণ। কৃষ্ণবর্ণ দেখে কিন্তু আমার নয়ন ॥ তাই বলি চক্ষু দোষ ঘটেছে আমার। দয়া করি এ পাপীরে করহ উদ্ধার। কৃপা করি ভৰ্গদেবে শক্তি সঞ্চারিল। অমনি তাহার চিত্তে ভক্তি উথলিল ॥ কি কহিল ভৰ্গদেবে প্রভু আঁখি ঠারি। অমনি তাহার চক্ষে বহে অশ্রু বারি ॥ সন্ন্যান্ধীর চেলা স্বল্প তত্ত্ব না বুঝিল । প্রভুর সহিত ভৰ্গ গৃণারে চলিল । গৃণার পাহাড় বড় উচ্চতর হয়। গুরুদত্ত চরণযুগল সেথা রয় ॥ গৃণারের উচ্চশিরে চরণ যুগল। চরণ দেখিতে চলে সন্ন্যাসীর দল ৷ প্রভাতে চরণযুগ দেখিবারে যাই । অপরাহ্লে চরণের নিকটে পৌছাই ॥ প্রস্তর উপয়ি শোভে দুখানি চরণ । চরণ দেখিয়া প্রভু করিলা বন্দন ॥ ধ্বজ বজ অঙ্কুশ শোভয়ে পদতলে । পাদপদ্ম দেখি প্রভু হরি হরি বলে । একজন পাও ইহ * থাকে নিরস্তর। চরণের কথা তারে পুছে বিশ্বম্ভর ॥ পাণ্ডা বলে যদুগণ যখন মরিল। তখন শ্ৰীবলদেব এখানে আইল ॥ বলদেব আসি এথা তপের কারণ। তপ আরম্ভিলা প্রভু করি যোগাসন । যোগাসনে বলদেব তপেতে বসিল । প্রভাসে যাদবগণ যুদ্ধ আরম্ভিল । মধু পানে মত্ত হয়ে যত যত্ন বীর। পরস্পরে যুদ্ধ করে ছুটিল রুধির ॥
- ইহ - এস্থানে "ি
সাত্যকি প্রভৃতি ছিল যত বীরগণ · একে একে যমালয়ে করিল গমন ॥ কৃষ্ণের ইচ্ছায় সব যদুগণ মরে । শেষে দেখা দিলা কৃষ্ণ পৰ্ব্বত উপরে ॥ এই খানে বলদেবে দেখি যদুপতি। কহিতে লাগিলা প্রভূ আপনার গতি। বলুদেবে কহে কৃষ্ণ গোলোকে যাইব । সিদ্ধ হৈল নিজ কাৰ্য্য আর না রহিব ৷ যাদবগণের পাপে পৃথিবী পূরিল। এই জন্ত যন্থগণ উচ্ছন্ন হইল ॥ মোর লাগি কানো যদি পাণ্ডুপুত্ৰগণ । তাহাদের শোক তুমি করিবে মোচন । প্রাণ হৈতে প্রিয় বস্তু দ্রুপদকুমারী। তারে আগে শাস্ত কৈর এই ভিক্ষা করি ॥ এত শুনি বলদেব উঠিল কান্দিয়া । এই বাক্য বলে তবে বিনয় করিয়া ॥ বিদ্ধর উদ্ধব আদি যত ভক্ত আছে । তুমি গেলে কি বলিব তাহদের কাছে ॥ কোন চিহ্ন রেখে যাহ তাহাদের লাগি । যে চিহ্ন দেখিবে তারা হয়ে অনুরাগী ॥ তুমিত তাদের প্রাণ জানিয়া শুনিয়া । গোলোকে যাইবে তুমি কেমন করিয়া ॥ কৃষ্ণবই তাহারা ত কিছু নাহি জানে। কিরূপে তাদের ফেলি যাবে নিজ স্থানে ॥ পাঞ্চালী করিবে যবে হাহাকার ধ্বনি। কি বলে বুঝাব তারে বুঝহ আপনি ॥ এত শুনি কৃষ্ণ এথা পদভর দিলা । অমনি চরণচিহ্ন এখানে রহিলা ॥ এই কথা বলি পাও বুঝাইয়া দিল। অমনি প্রভুর হৃদে প্রেম উপজিল ৷ আনন্দের ধাম গোরা প্রেম নিকেতন। স্থির দৃষ্ঠে পদচিহ্ন করে দরশন ॥ "