গোবিন্দ দাসের করচা কেবা নিজ কেবা পর না করি গণন। কৃষ্ণের ইচ্ছায় মরে যত্নবীর গণ ॥ | চারুদেষ্ণ স্বরত্বি সাত্যকি যুযুধান । শাম্ব গদ প্রভূতি যতেক মতিমান ॥ | পরস্পর যুদ্ধ করি মরে সেই খানে । | বিরস বদনে প্রভু কান্দে সেই স্থানে ॥ কান্দিয়া এতেক হর্ষ কেহ নাহি পায় । কান্দিয়া আনন্দ প্রভূ ধরায় ছড়ায় ॥ | জগতের শোক তুংখ করিতে হরণ। প্রচারে হরির নাম যখন তখন ॥ হরিনাম প্রেম ভক্তি হরির ভজন । শিক্ষা দেয় জগজনে প্রভু সৰ্ব্বক্ষণ ॥ দিন নাই রাত্রি নাই ফিরি দ্বারে দ্বারে। । বিতরে হরির নাম জগৎ মাঝারে ॥ কে লবে রে হরিনাম হ ও মাগুয়ান । বিনা মূল্যে এই রত্ন করি সবে দান ॥ ! অমূল্য রতন সবে লহ যত্ন করি। I অনায়াসে সংসার-সাগর যাবে তরি । একবার মুখে উচ্চারিলে হরিনাম । | বন্ধন কাটিবে যাবে সবে নিত্যধাম ॥ বড়ই কঠিন গ্রন্থি মায়ার দড়িতে। হরিনাম অস্ত্র ভিন্ন কে পারে কাটিতে ॥ এই কথা বলি প্রভূ ফিরে দ্বারে দ্বারে। প্রেমরস ছড়াইলা জগৎ সংসারে ॥ অমরপুরীর লোক একত্র জুটিয়া। ; আননা পাইল সবে প্রভুরে দেখিয় ॥ . পাগলের দ্যায় যেন ইতি উfত ধায় । আবেশে উন্মত্ত হয়ে ঘুরিয়া বেড়ায় ॥ উৰ্দ্ধশ্বাসে ছুটে কন্তু যেন জ্ঞান হারা । মিশিয়া গিয়াছে উৰ্দ্ধে নয়নের তারs পৃষ্ঠদেশে এলায়ে পড়েছে জটাভার। হৃদয় মাঝারে অএ পড়ে অনিবার ॥ අම් পাগলের মত বেশ শিথিল অম্বর। সৰ্ব্বাঙ্গে উড়িছে খড়ি ধূলায় ধূসর । কোথায় যজ্ঞের কুণ্ড বলে গোর রায় । পাণ্ডাগণ সঙ্গে থাকি প্রভাস দেখায় ॥ প্রভাসের দক্ষিণ ভাগেতে মোরা যাই । সেই খানে গিয়। কুণ্ড দেখিবারে পাই ॥ এই কুণ্ড কাটি যদুপতি যজ্ঞ করে । সেই যজ্ঞে যদুগণ যুদ্ধ করি মরে ॥ সেই খানে সত্যভামা করি কাম্য বন । মাঝে মাঝে কৃষ্ণসহ করি আগমন । পরম আনন্দে বাস করিতেন সতী । সেই স্থান দেখিয় গৌরাঙ্গ মহামতি ॥ কান্দিয়া উঠিলা প্রভু করিয়া চীৎকার। ফুকারি ফুকারি প্রভু কান্দে অনিবার ॥ ক্রমে দশজন পাণ্ডা আসিয়া জুটিল । একে একে সব স্থান দেখাতে লাগিল ॥ এই খানে ইষ্ট গোষ্ঠী তিন দিন করি। যাইতে কহিলা পরে দ্বারক নগরী | প্রভাসেতে আর তীর্থ দেখিবার নাই । পহিলা আশ্বিনে মোরা দ্বারকায় যাই ॥ কৃষ্ণনাম করিতে করিতে প্রভু যায়। সমুদ্রের ধারে ধারে যাই দ্বারকায় ॥ সাগরের খাড়ি পাই চারি দিন পরে। পার হৈতে হইবেক দড়ার উপরে ॥ দড়ার উপর দিয়া দ্বারকায় যাই । রৈবতক নামে গিরি দেখিবারে পাই । ভাবে ঢুলু ঢুলু গোরা পৰ্ব্বত দেখিয়া। মুচকি মুচকি প্রভু উঠিল হাসিয়া। কি যেন করিয়া মনে প্রফুল্প বয়ানে। মহাপ্রভু হাসিয়া চাহিলা মোর পানে।
পাতা:গোবিন্দ দাসের করচা.djvu/১৬২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।