গোবিন্দ দাসের করচা ** প্ৰভূ বলে হৰি ধরে খাস্ত মিলাইবে। সেইদিন ভূক্ষ্য পেয়ঁ আসিয়া জুটিৰে ।
- ছই সের জাষ্ট্র মুছি ভিক্ষা করে আনি।
যোগ খান টি প্রভু করিলা আপনি । হেনকালে এক নারী বালক লইয়া। বলে কিছু Kनरु भब्रि ক্ষুধার জলিয়া । অন্ন নাই বস্ত্র নাই খেতে নাছি পাই á পথে পথে শিশু সঙ্গে ভিক্ষা মেগে খাই । শুনিয়া তাহার বাণী প্ৰভু দয়াময় । আপনার ভাগ তুলে দিলেন তাহাঁয় ৷ দুঃখিনী চলিয়া গেল সস্তুষ্ট হইয়া । অনাহারে দিলা প্রভু দিন কাটাইয়া রজনীতে কিছু ফল ভিক্ষ মেগে আনি । ফল সেব! করি প্রভু কাটায় রজনী ॥ লক্ষ্মণের কুও এক আছে এইখানে । প্রভাতে শুনিয়া মোরা যাই তথা স্নানে ॥ নগরের প্রাস্তে কুও অতি মনোহব ! পৰ্ব্বতে বেষ্টিত কুও অল্প পরিসর । পিপাসায় শুষ্ক কণ্ঠ জানকী হইলা । বাণ মারি এই কুও লক্ষ্মণ কাটিলা । লক্ষণ-কুণ্ড বলি প্রসিদ্ধ হইল । এই কুও মঙ্গাতীর্থ জানকী বলিল ॥ অতি রমণীয় কুও অত্যন্ত গভীর। স্বান করি সুশীতল হইল শরীর । এই তীর্থে স্নান করি গোর। দয়াময় । হরিধ্বনি করে শুনি চিত্ত দ্রব হয়। পরদিন যাই বিষ্কাগিরির উপর। যেইখানে শোভা পায় মন্দুরা নগর ॥ পৰ্ব্বতের মাঝে এক গুহার ভিতরে । একজন তপস্বী থাকিয়া তপ করে ॥ তপস্বীর কথা শুনি মোর গোর রায়। সেইখানে তপস্বীরে দেখিবারে যায় ॥ ধ্যানেতে আছেন বসি সন্ন্যাসী ঠাকুর। তপস্বীর মূৰ্ত্তি হয় অতি স্বমধুর ॥ গলিত কাঞ্চন সম অঙ্গের বরণ । চারিদিকে বাহিরিছে তেজের কিরণ ॥ দীর্ঘ দীর্ঘ নখ পড়িয়াছে পালটিয়া। শ্বেত শ্মশ্র পড়িয়াছে হৃদয় ঢাকিয় ॥ অস্থি চৰ্ম্ম অবশিষ্ট ক্ষীণ কলেবর। দেখা যাইতেছে তার শরীরে পঞ্চর। নিশ্চল ভাবেতে আছে উলঙ্গ হইয়া । ভক্তির উদয় হৈল সে মূৰ্ত্তি দেখিয়া । কাঠের মুরতি সম দেখিবারে পাই । চক্ষু মেলি বার বার মুখ পানে চাই ॥ মহাপ্রভু সম্মুখে গিয়া দাণ্ডাইলা । তপস্বী ভাঙ্গিয় ধ্যান চাহিতে লাগিলা ॥ যেই ক্ষণে চারি চক্ষে হইল মিলন। অমমি তপস্বিবর হাসিলা তখন ॥ তপস্বীর সঙ্গে প্ৰভু ইষ্টগোষ্ঠী করি। পৰ্ব্বতের নিম্নে আসে মণ্ডল নগরী ॥ বামে শোভে বিন্ধ্যগিরি নৰ্ম্মদ ডাহিনে । তথা হৈতে দেবঘর যাই তিন দিনে ॥ একজন কুষ্ঠরোগী ছিল দেবঘরে। এই রোগী আদি নারায়ণ নাম ধরে ॥ বণিকের শ্রেষ্ঠ হয় আদি নারায়ণ । বহু ধন আছে কিন্তু সদা ক্ষুণ্ণ মন ॥ গ্রামের বাহিরে এক বট বৃক্ষ আছে। দয়াময় প্রভু গিয়া বৈসে তার কাছে ॥ প্রভুর শোভায় চারি দিক আলো করে। লোক জানাজানি ক্রমে হইল নগরে ॥ সন্ন্যাসী দেখিতে আসে দুই চারি জন । নগরেতে যাই মুহি ভিক্ষার কারণ। রামানন্দ যায় তবে পুষ্প আনিবারে। গোবিন্দ চরণ গেলা নদীর কিনারে ॥