পাতা:গোবিন্দ দাসের করচা.djvu/১৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Եժe গোবিন্দ দাসের করচা সেদিন ভিক্ষায় পাই আতপ তণ্ডুল। রামানন্দ লয়ে আসে নানাবিধ ফুল ৷ স্বান করি প্রভু মোর পূজা আরম্ভিল। গোবিন্দ চরণ শুষ্ক কাষ্ঠ আনি দিল ॥ ভোগ দিয়া নাম আরম্ভিলা গোরা রায় । করিতে করিতে নাম পুলক বাঢ়য় ॥ প্রেমে গদ গদ তমু নাচিতে লাগিল । অজ্ঞান হইয়া শেষে ধরায় পড়িল । এই কথ। শুনি তথা বহু লোক আছে । সেই কুষ্ঠ রোগী আসি দাড়াইলা পাশে ॥ নারায়ণ আসি কাদে জুড়ি দুট কর। নিস্তার করহ বলি কাদিলা বিস্তর ॥ পরম বৈষ্ণব হয় আদি নারায়ণ । তাহারে করিতে দিলা প্রসাদ ভক্ষণ ভক্তিসহ প্রসাদ করিয়া উপযোগ । তখনি তাহার দূর হৈল কুষ্ঠ রোগ। কুষ্ঠ রোগ দুর হৈল প্রসাদ পাইয়। বহু রোগী আসে এই সংবাদ শুনিয়া ॥ সঙ্কট দেখিয়া প্ৰভু চাহিতে লাগিল । মোর পানে চেয়ে তবে ইঙ্গিত করিল। যাত্রা করিলাম মুহি খড়ম লইয়া । সেই ছলে প্ৰভু চলে নগর ছাড়িয়া ॥ আদি নারায়ণ তবে সঙ্গে সঙ্গে যায় । প্রভু বলে মুক্ত হৈলে কৃষ্ণের কৃপায় ॥ তবে কেন মোর সঙ্গে কর আগমন । ঘরে গিয়া ভাব সদা কৃষ্ণের চরণ ॥ আদি নারায়ণ বলে ঘরে নাহি যাব । দেশে দেশে আপনার সঙ্গেতে ফিরিব ॥ প্রভু বলে ঘরে গিয়া ভোগ কর ধন।। ৬ নারায়ণ বলে ধনে কিবা প্রয়োজন ॥ যদি মোরে সঙ্গে নাহি লহ দয়াময়। কুটার বান্ধিয় মুহি যাপিব সময় ॥ প্রভু বলে কর গিয়া তুলসী কানন। সেই খানে বসি কর সময় যাপন। শুনিয়া প্রভুর বাক্য সব ত্যাগ করি। আদি নারায়ণ মুখে বলে হরি হরি ॥ সাধু শ্রেষ্ঠ হৈল সেই আদি নারায়ণ । কৃষ্ণ নাম করি করে সময় যাপন ৷ চরণে প্রণাম করি আদি নারায়ণ । করিলা প্রভুর কাছে বিদায় গ্রহণ ॥ ত্রিশ ক্রোশ দূরে হয় শিবানী নগর। দুই দিনে সেই খানে য়ায় বিশ্বম্ভর ॥ মলয় পৰ্ব্বত শিবানীর পূর্ব ভাগে সেইখানে যায় প্রভু কৃষ্ণ অমুরাগে ॥ মলয় পৰ্ব্বত প্রভু করি দরশন। চঞ্জীপুর নগরেতে করে আগমন। চণ্ডীপুরে চণ্ডী দেবী দরশন করি। রায়পুর যায় গোরা অরিয়া শ্রীহরি ॥ বহুলোক রায়পুরে দরশন আশে । উপস্থিত হৈল আসি চৈতন্তের পাশে ॥ জীবের কুর্দশ দেখি মোর গোরা রায়। ঘরে ঘরে হরিনাম আনন্দে বিলায় ॥ প্রভু বিদ্যানগর আইলা অতঃপর । রামানন্দ দেখা করে যোড় করি কর । রামানন্দ রায় আসি প্রণাম করিলা । হাত ধরি তুলি প্রভু তারে কোল দিলা পরম বৈষ্ণব রায় দূরে পিছাইয়া । কান্দিতে লাগিল বহু বিনয় করিয়া ॥ প্রভূ বলে রায় তুহু চল মোর সাথে । এক সঙ্গে গিয়া হেরি প্রভু জগন্নাথে ।

  • এই ব্যক্তি সঙ্গে থাকিলে চৈতন্যদেবের তাহার পাছে পাছে ছুটিবে, এই আশঙ্কায় সম্ভবতঃ অলৌকিক শক্তির কথা প্রচার হইবে এবং বহু রোগী । তিনি তাহাকে সঙ্গে নিতে অনিচ্ছুক হইয়াছিলেন।