ভূমিকা ১ । করচার প্রাচীন পাণ্ড লিপি এই পুস্তকের অন্ততম সম্পাদক প্রযুক্ত বনোয়ার লাল গোস্বামী মহাশয় করচ সংগ্রহের বিস্তারিত বিবরণ দিয়াছেন। তিনি বঙ্গীয় সাহিত্যক্ষেত্রে সুপরিচিত। তাহার রচিত খিচুড়ি পোলাও প্রভৃতি গ্রন্থ বঙ্গীয় কাব্য-সাহিত্যে বিশেষ প্রতিষ্ঠা লাভ ঝরিয়াছে। গোস্বামী মহাশয়ের বয়স এখন ৭০ যাহারা ইহাকে জানেন, তাহার' ই হার সরল প্রকৃতি ও তেজস্বিতা সম্বন্ধে অবহিত আছেন । কঠোর সত্য কথা বলিতে যাইয়া তিনি সময় সময় মনুক্ত সাবধানতাও রক্ষা করিতে পারেন না । শ্ৰীযুক্ত বনোয়ারী লাল গোস্বামী মহাশয়ের পিতা শান্তিপুর নিবাসী ৮ জয়গোপাল গোস্বামী মহাশয় গোবিন্দ দাসের করচা প্রকাশিত করেন । ত্ৰ খন বনোয়ারী লালের বরস প্রায় ৪ • ছিল এবং তিনি সৰ্ব্বকার্য্যে পিতার দক্ষিণহস্ত স্বরূপ ছিলেন, সুতরাং তিনি যাহা লিখিয়াছেন, তাহ সমস্তই চাক্ষুস ঘটনা ! করচার দুষ্টখানি প্রাচীন পুথি জয়গোপাল গোস্বামী মহাশয় পাইয়াছিলেন। প্রথমখানি অতি জীর্ণ ও কীটদষ্ট ছিল । ৮ কালিদাস নাথ মহাশয়ের নিকট তিনি ইহা প্রাপ্ত হইয় তাহার একখানি পাণ্ডুলিপি প্রস্তুত করেন। সেই পাণ্ডুলিপির কয়েক পত্র "রিজ এও রায়েট’ পত্রিকার সম্পাদক ডাঃ শস্তু মুখোপাধ্যায় মহাশয় হারাইয়া ফেলেন। তাহার বহুপূৰ্ব্বে গোস্বামী মহাশয় প্রাচীন পুথিখানি ফিরাইয়া দিয়াছিলেন। কালিদাস নাথ মহাশয়ের নিকট পুনরার চাহিয়া তিনি তাহ পান নাই। উক্ত নাথ মহাশয় সেই পুথি তাহার মালিককে প্রত্যপণ করিরাছিলেন এবং তাহা ফিরিয়া পাইবার কোন সম্ভাবনা ছিলনা, সুতরাং অসম্পূর্ণ পাণ্ডুলিপিখানি কয়েক বৎসর গোস্বামী মহাশয়ের নিকট পড়িয়া ছিল । তৎপর দৈবক্রমে শাস্তিপুর নিবাসী ৮ হরিনাথ গোস্বামী মহাশয়ের নিকট করচার আর একখানি পুথি পাওয়া যায়, উহা খণ্ডিত ও ভ্রমপ্রমাদ পূর্ণ ছিল। জয় গোপাল গোস্বামী মহাশয় এই খণ্ডিত এবং ভ্ৰমাত্মক পুথির পূর্বভাগ এবং তাহার নিজের নিকট যে প্রাচীন পুথি খানির নোট ছিল তাহা হইতে অতি কষ্টে তাহার নষ্টাংশের পুনরুদ্ধার করেন। ১৮৯৫ খৃষ্টাব্দে (১৮১৭ শক) গোবিন্দ দাসের করচ কলিকাতা সংস্কৃত প্রেস ডিপজিটারী হইতে প্রথম প্রকাশিত হয়। “প্রাচীন পুথি বাহির কর” যাহার এই করচার প্রামাণিকতা সম্বন্ধে সন্দেহ উপস্থিত করিয়াছেন তাছাদের মধ্যে কেহ কেহ বলিতেছেন “করচার প্রাচীন পুথি বাহির কর, তবে. বিশ্বাস করিব।” দ্বইখানি
পাতা:গোবিন্দ দাসের করচা.djvu/২০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।