फूभिक >S নাই। যদিই বা একথা সত্য হইত যে জয়গোপাল গোস্বামী মহাশয় একঘরে হইয়াছিলেন, তাহা সাহিত্যক্ষেত্রে তাহার একটা অপরাধের প্রমাণ বলিয়া গণ্য হইত না, যেহেতু পাড়াগায়ের একঘরে হওয়ার ব্যাপারটা প্রায় সব সময়েই শক্ৰতামূলক। প্রাচীন পুথি যাহারা দেখিয়াছিলেন করচ প্রকাশের প্রায় ১৪১৫ বৎসর পূৰ্ব্বে ঐ পুথি গোস্বামী মহাশয়ের হস্তগত হইয়াছিল। সে আজ ৪৫।৪৬ বৎসরের পূর্বের কথা। সে সময় কালিদাস নাথ মহাশয়ের প্রদত্ত পুথিখানি অনেকেই দেখিয়াছিলেন। তখনকার অনেক লোকই এখন জীবিত নাই, কিন্তু মুখের বিষয় এখনও দু-চার জন শিক্ষিত কৃতবিদ্য ব্যক্তি আছেন যাহার পুথিখানি দেখিয়াছিলেন। বাকুলার সুপ্রসিদ্ধ পণ্ডিত লক্ষ্মীনারায়ণ তর্ক চূড়ামণির নাম অনেকের নিকটই বিদিত। ইহার বয়স এখন ৮০ ৷ ইনি আমাকে নিম্নলিখিত চিঠিখানি লিথিয়াছেন। “৪৫৪৬ বৎসর পূৰ্ব্বে হুগলীর সন্নিহিত কেওটায় আমার অবস্থান কালে ৮ গোরাচাদ চক্ৰবৰ্ত্তী নামক কোন হরিভক্তি পরায়ণ ব্রাহ্মণের নিকট গোবিন্দ দাসের করচার পুথি দেখিয়াছিলাম। ঐ পুথিখানি কীটদষ্ট ও জীর্ণ ছিল। তিনি ঐ খানি নকল করিতেন এবং অনেক সময় অস্পষ্ট পদ উদ্ধারের জন্য আমাকে ডাকিতেন, সেইজন্ত উহার অনেক কথা আমার মনে আছে। বৰ্ত্তমান সময়ে ৮ জয়গোপাল গোস্বামী মহাশয়ের সঙ্কলিত গোবিন্দ দাসের করচা খানি মুদ্রিত দেখিতে পাই। চক্ৰবৰ্ত্ত মহাশয়ের নিকট যে পুথি দেখিয়াছিলাম তাহা ও এই ছাপা পুথি এক বলিয়া মনে করি। জয়গোপাল গোস্বামী সঙ্কলিত পুস্তকখানি যতই পড়িতেছি, ততই আমার পূৰ্ব্বের লিখিত সংস্কারগুলি জাগিয়া উঠিতেছে। १दल শ্ৰীলক্ষ্মীনারায়ণ ভট্টাচাৰ্য্য। আর একখানি পত্র আমরা পাইয়াছি রংপুরের অবসরপ্রাপ্ত সরকারী উকিল,— হাই কমিসনার সিভিলিয়েন স্তার অতুলচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় মহোদয়ের সহোদর রায় বাহান্থর শ্রীযুক্ত শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এম. এ , বি. এল. মহাশয়ের নিকট হইতে। ১৯২৫ সনের ২৪ শে মার্চ তিনি আমাকে পত্ৰখানি লিখিয়াছিলেন, তাহ পাদটীকায় উদ্ধত হইল এবং তাহারে কতকাংশের মৰ্ম্ম নীচে দেওয়া যাইতেছে। *
- Dear Dr. Sen, Your much esteemed favour of the 19th inst. Yes, l know the lato Pandit Joy Gopal Goswami of Santipur, rather intimately in my young days and I had the honeur and the privilege of enjoying his confidence too. I remember to have seen an old Ms. of Govinča Das's Karcha with him, which he was then engaged in making a copy of, for