ভূমিকা S S) আন্দলনের পুনরুদ্ভব—‘গোটা করচা খানিই জাল’ । মদরচিত বিবিধ ইংরেজি ও বাঙ্গালা পুস্তকে আমি বৈষ্ণব ইতিহাস-ক্ষেত্রে গোবিশ্বদাসের করচার অতি উচ্চ স্থান নির্দেশ করিয়াছি, এমন কি চৈতন্য ভাগবত এবং চৈতন্যচরিতামৃত হইতেও ঐতিহাসিক প্রামাণিকতায় করচাকে বড় মনে করিয়াছি। মোড়া বৈষ্ণবেরা পূৰ্ব্বোক্ত দুই খানি পুস্তককে—বিশেষ চৈতন্যচরিতামৃতকে বেদের তুল্য শ্রদ্ধেয় মনে করেন। গোড় খৃষ্টানের নিকট বাইবেল যেরূপ, গোড়া বৈষ্ণবের নিকট চৈতন্য-চরিতামৃতও সেইরূপ ; স্বতরাং যখন আমি একজন মুখ কৰ্ম্মকার রচিত ক্ষুদ্রায়তন করচাকে চৈতন্ত-চরিতামৃত এবং অপরাপর প্রসিদ্ধ গ্রন্থাপেক্ষাও কোন কোন বিষয়ে শ্রেষ্ঠ বলিয়া নির্দেশ করিলাম, তখন বৈষ্ণবদের মধ্যে কেহ কেহ আমার প্রতি বিষম বিরক্ত হইলেন। তাহদের মধ্যে বিশেষ করিয়া ঐযুক্ত রসিক মোহন বিদ্যাভূষণের নাম করা যাইতে পারে। পূৰ্ব্ববর্তী আন্দোলনকারীরা করচার কয়েক পৃষ্ট মাত্র জাল প্রতিপন্ন করিতে চেষ্ঠা পাইয়াছিলেন, কিন্তু এখন সেই আন্দোলনের ২৭। ২৮ বৎসর পরে গোটা পুথি খানি গোস্বামী মহাশয়ের স্বকপোল কল্পিত, ইহাই প্রমাণ করিতে তাহারা উঠিয়া পড়িয়া লাগিলেন। ২৭২৮ বৎসর পূৰ্ব্বে অনেকেই প্রাচীন পুথি খানি দেখিয়াছিলেন, সুতরাং তখন এরূপ প্রতিবাদ টিকিতে পারিত না ; এখন সেই সকল ব্যক্তির অনেকেই স্বৰ্গ-গত, সুতরাং সুবিধা হইয়া গিয়াছে। কিন্তু এখনও যাহারা জীবিত আছেন, এবং বই খানি দেখিয়াছিলেন,—তাহদের চিঠি পত্র পূর্কেই উদ্ধৃত হইয়াছে। বস্তুত করচা তাহাদের ভাল না লাগিবার আর একটা বিশেষ কারণ আছে। যদিও চৈতন্ত চরিতামৃত, চৈতন্য-চন্দ্রোদয়, চৈতন্য ভাগবত এবং চৈতন্ত মঙ্গল প্রভৃতি গ্রন্থোক্ত ঘটনার সব জায়গায় ঐক্য নাই, তথাপি মুলতঃ উহার একছনে রচিত। এই সকল পুস্তকের সৰ্ব্বত্রই চৈতন্তকে শ্ৰীকৃষ্ণ প্রতিপন্ন করিতে যাইয়া কথায় কথায় তাহার দেবলীলার অবতারণা করা হইয়াছে । সে কালের বৈষ্ণবেরা চৈতন্তের দেব-লীলা শুনিতেই ইচ্ছা করিতেন, তাহাকে মানুষের মত সহজ ভাবে দেখিয়া সুখী হইতেন না। ইহা কেবল হিন্দুদের ধৰ্ম্মবিশ্বাসের বিশেষত্ব ছিল না, সমস্ত জগতে তখন অতি-প্রাকৃত ঘটনা সাধারণের ধৰ্ম্ম-বিশ্বাসের অবলম্বনীয় ছিল। খ্ৰীষ্টানেরা আজকাল মার্কলিখিত “মুসমাচারকেই” নুতন টেষ্টামেন্টের মধ্যে সৰ্ব্বাপেক্ষ আদরণীয় মনে করিতেছেন—যেহেতু এই গ্রন্থে অতি-প্রাকৃত ঘটনা অল্প। কিন্তু এককালে এই কারণেই পুস্তকখানি হতাদৃত ছিল । *
- We may believe that its (of the Gospel of St mark) simple terms of what we may call its realistic interpretation of Christ were not altogether congenial to many of its early readers. Careful enquiry, howover, shows that the grounds on which St Mark's Gospel has been depreciated add to rather than diminish its value. It deals less with