পাতা:গোবিন্দ দাসের করচা.djvu/৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভূমিকা * రిరి সেই ধনী মনে চমকিল। চরণ-তলেতে পড়ি আশ্রয় লইল ॥ চরণে দলেন তারে নাহি বাহ জ্ঞান। রবলে বাহ তুলে নাচে আগুয়ান। সত্যেরে বাহুতে ছান্দি বলে বল হরি। হরি বল প্ৰাণেশ্বর মুকুল মুরারি। কোথা প্ৰভু কোথায় বা মুকুন মুরারি। অজ্ঞান হইল সবে এই ভাব হেরি ॥ হরি নামে মত্ত প্রভু নাহি বাহ জ্ঞান। ৰাড়ি ভাঙ্গি পড়িতেছে আকুল পরাণ ॥ মুখে লালা অঙ্গে ধুলা নাহিক বসন ৷ কণ্টকিত কলেবর মুদিত নয়ন ॥ ভাব দেখি যত বৌদ্ধ বলে হরি হরি। শুনিয়া গোরার চক্ষে বহে অশ্রু বারি। পিচকিরি সম অশ্রু বহিতে লাগিল । ইহা দেখি তীর্থরাম কান্দিয়া উঠিল। বড়ই পাষণ্ড মুহি বলে তীর্থরাম। কৃপাকরি দেহ মোরে প্রভু হরি নাম ॥ তীর্থরাম পাষণ্ডেরে করি আলিঙ্গন । প্রভু বলে তীর্থরাম তুমি সাধুজন । পবিত্র হইনু আমি পরশি তোমারে। তুমিত প্রধান ভক্ত কহে বারে বারে।” সে সময়ে তিনি একেবারে ভাবাবেশে অজ্ঞান হইয়া পড়িয়াছিলেন। এমন কি ধনশালী তীর্থরামের দেহকেও তিনি পদ-দলিত করিয়াছিলেন। “চরণে দলেন তারে নাহি বাহ জ্ঞান।” & “সত্যকে বাহুতে ছান্দি বলে বল হরি” এই ছত্রট উদ্ধৃত করিয়া একজন করচাবিরোধী লেখক লিখিতেছেন “এই স্থলে আরও অশ্লীলতা দুষ্ট কথা আছে। তাহা আমরা উদ্ধত করিলাম না।" ( আনন্দ বাজার ১২ মাঘ, ১৩৩৯ )। কথাগুলির যথাসম্ভব দুষ্টার্থ করিয়াও লেখক তৃপ্ত হন নাই, পাঠকগণকেও আরও মিথ্যা বিভীষিকা দেখাইতেছেন। আমি নিশ্চয় বলিতে পারি উদ্ধৃতাংশ পাঠ করিয়া এমন কেহ নাই যে মহাপ্রভুর পরম নিৰ্ম্মল ভগবৎভক্তির ভিন্নার্থ করিতে পারেন। তিনি যে ভক্তি-গঙ্গাদ্বারা তাপদগ্ধ জীবকে উদ্ধার করিত্বে আসিয়াছিলেন, সেই কথাই উদ্ধতাংশে দেদীপ্যমান হইয়াছে। যে নিৰ্ম্মল সুধারসে মাতৃক্ষজ্ঞ, শিশুর ন্যায় নিৰ্ম্মল হইলে তাহ পান করিবার অধিকার জন্মে,—এখানে জলোঁকাবৃত্তির অবকাশ নাই । একদল সংস্কারান্ধ, অপর দল নানারূপ নিন্দিত উপায় অবলম্বনশীল। এই দুই দলের চেষ্টায় করচার বিরুদ্ধে আন্দোলনটি নানাদিকে ছড়াইয়া পড়িতেছে। বর্তমান বৈষ্ণব সাহিত্যে করচার বিশিষ্ট স্থান । e কিন্তু আন্দোলন যতদূরই ব্যাপক হউক না কেন, একথা আমি নিশ্চয়ই বুঝিয়াছি যে করচাকে ধ্বংস করা এখন কাহারও সাধ্যায়ত্ত নহে । একটি মুষ্টিমেয় দল এই আন্দোলনটি বাজে লোকের মধ্যে ফাপাইয়া তুলিয়াছেন। কিন্তু উদার বৈঞ্চব-মণ্ডলী এই পুস্তককে চৈতন্যদেবের জীবনী সম্বন্ধে অভতম প্রধান প্রামাণিক গ্রন্থ স্বরূপ গ্রহণ করিয়াছেন। যদিও করচার ৫১ পৃষ্ঠা ( বর্তমান সংস্করণে ২১ পৃঃ পৰ্য্যন্ত লেখার সত্যতা সম্বন্ধে অমৃতবাজারের শিশির কুমার ঘোষ 姆