S}\, গোবিন্দ দাসের করচা (১- ) আর একটা কথা এই যে যোগেন্দ্রমোহন ঘোষ মহাশয় করচার বিরুদ্ধে নানাস্থলে সভা করিয়া বক্তৃতা করিয়া বেড়াইতেছেন, তিনিও তাহার রচিত “শ্ৰীগৌরাঙ্গ ও তাহার ধৰ্ম্মগৌরব” পুস্তকে করচা হইতে অনেক কথা প্রমাণ স্বরূপ উদ্ধত করিয়াছেন। এখন তিনি মুখ ফিরাইয় অন্তরূপ কথা বলিতেছেন কেন ? অচ্যুতবাবু “শ্ৰীশ্ৰীবিষ্ণুপ্রিয় গৌরাঙ্গ" পত্রিকার তৃতীয় বৎসরের ৫ম সংখ্যায় লিখিয়াছেন “কৈ সে গ্রন্থ ত তিনি এ যাবৎ বাতিল করেন নাই! কিন্তু তাহা সত্ত্বেও কি জানি কেন করচ, এখন তাহার কাছে হতাদৃত।” । বৰ্ত্তমান বৈষ্ণবসাহিত্যের গওঁীর বাহিরে অনেক খ্যাতনাম পণ্ডিত করচাকে প্রামাণিক গ্রন্থ বলিয়া স্বীকার করিয়াছেন। ( ১১ ) শ্ৰীযুক্ত রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয় তাহার বঙ্গদেশের ইতিহাসে একটি সম্পূর্ণ অধ্যায় করচাকে অবলম্বন করিয়া লিখিয়াছেন। তিনি স্বয়ং দাক্ষিণাত্যের বহু স্থান ঘুরিয়া আসিয়াছেন। সুতরাং গোবিন্দদাস তথাকার যে পুঙ্খানুপুঙ্খ বিররণ দিয়াছেন তাহার যাথার্থ উপলদ্ধি করিয়া তিনি বিশেষরূপে এই পুস্তকের পক্ষপাতী হইয়া পড়িয়াছেন। ( ১২ ) হাইকোটের স্বৰ্গীয় বিচারপতি সারদাচরণ মিত্র মহাশয় তদীয় মহাপ্রস্তুর উৎকলে প্রমণ বিষয়ক পুস্তকে করচাকে বিশেষভাবে আশ্রয় করিয়াছেন। ( ১৩ ) সম্প্রতি শ্ৰীযুক্ত কুমুদনাথ দাস মহাশয় তাহার ইংরেজীতে লিখিত বঙ্গভাষা ও সাহিত্যের ইতিহাসে করচাকে বিশিষ্ট স্থান দিয়াছেন । ( ১৪ ) এই সকল গণ্যমান্ত লোকদিগের মধ্যে এই ভূমিকা লেখকের নামটিও জুড়িয়া দেওয়া যাইতে পারে। ( ১৫ ) স্বপ্রসিদ্ধ বিশ্বকোষ অভিধানেও করচার মৌলিকত্ব স্বীকৃত হইয়াছে। যদিও এস্থানে এ কথাটি উল্লেখযোগ্য যে উপরি-উক্ত লেখকদিগের মধ্যেও দুই একজন বর্তমান আন্দোলনের হিরিকে কতকটা ভীত হইয়া পড়িয়া করচার প্রামাণিকতা স্বীকার করিয়াও প্রথম সংস্করণের ভাষার উপর কিছু কিছু কটাক্ষপাত করিয়াছেন। সেরূপ কটাক্ষপাতের কোন কারণ ছিল না, তাহা আমরা পরে দেপাইব । ( ১৬ ) রাণাঘাটনিবাসী ঐযুক্ত কুমুদ মল্লিক মহাশয় বিরচিত “নদীয়া-কাহিনীতে” করচার প্রমাণ গৃহীত হইয়াছে। ( ১৭ ) নদিয়া জেলার রিফাইৎপুর গ্রাম-বাসী ঐযুক্ত মুশীলকুমার চক্রবর্তী মহাশয় সম্প্রতি “বৈষ্ণব সাহিত্য” নামক প্রায় চারিশত পৃষ্ঠা ব্যাপক একখানি পুস্তক লিখিয়াছেন। তাহাতে করচার প্রমাণ অবলম্বন করিয়া তিনি অনেক কথা লিখিয়া উপসংহারে বলিয়াছেন “গোড়া বৈষ্ণবদিগের নিকট করচার বিশেষ আদর লাই। তাহদের গোড়ামির অমুকুল ও সমর্থক নহে ৰলিয়া করচার প্রতি তাহারা তাদৃশ শ্রদ্ধাবান নহেন। সাহিত্যসেবীর পক্ষে এই করচ অতি মূল্যবান সামগ্ৰী ।” ( ১৮ ) ১৩৩৩ বাং জ্যৈষ্ঠ সংখ্যা “শ্ৰীশ্ৰীসোনার গৌরাঙ্গ” পত্রিকায় মহামহোপাধ্যায়
- উৎকলে শ্ৰীকৃষ্ণ চৈতষ্ঠ ।