8○ গোবিন্দ দাসের করচা BBBB BBBBB BBB BBB BBB BB BBB BBBB BBBB BBB হন । এই একাত্তর বৎসর এবং তাহার পরে আরও ছয় বৎসর তিনি ক্রমাগত বৃন্দাবনে থাকায় তাহার ভাষা হিনীর সঙ্গে মিশিয়া খিচুরী হইয়া গিয়াছিল। সে ভাষার নমুনা এইরূপ “কহে তাহ কৈছে রহে রূপ সনাতন । কৈছে করে বৈরাগ্য কৈছে ভজন ॥ কৈছে অল্প প্রহর করে শ্রীকৃষ্ণ ভজন। তবে প্রশংসিয়া কহে সেই ভক্তগণ ॥ অনিকেতন জু হে রহে যত বৃক্ষগণ। একৈক বৃক্ষের তলে একৈক রাত্রে শয়ন ॥ করোয় মাত্র কাথা ছিড়া বহিবর্গস। ক্লষ্ণ কথা কৃষ্ণ নাম নৰ্ত্তন উল্লাস ॥” (চৈ, চ, মধ্য ১৯ প: ) । ষোড়শ শতাব্দীতে ব্রজবুলীতে বঙ্গীয় কবিরা যে সকল পদ রচনা করিয়াছিলেন, তাহা দেখিয়া ও অনেকেয় এই স্বাস্ত ধারণা হইয়াছে যে সেই সময়ের বাঙ্গালা ভাষা বুঝি ঐরূপ। বস্তুত: বঙ্গালী কবিদের ব্রজবুলী সম্পূর্ণ কত্রিম ভাষা। এদেশে পাড়া গেয়ের ভাৰ্য 8 е оo * 5 বৎসরে বড় বেশী তফাৎ হয় না। আমার পিতামহকে আমি দেখিয়াছি এবং আমার পৌত্রেরা ও বর্তমান আছে। পিতামহের ভাষা ও প্রপিতামহের ভাষাতে বিশেষ তফাৎ ছিল না, ইহা অনুমান করা যাইতে পারে। এই ছয় পুরুষে ( প্রচলিত গণনানুসারে ২ • • বৎসর ) ভাষার কিছু তফাৎ অবশুই হইয়াছে, কিন্তু তাহা খুব বেশী নহে । ৪০ • বৎসরে ভাষা খুব দুর্বোধ হইয় পড়ে না। যদি কেহ থাটি দাঙ্গাণায় পুস্তক রচনা করেন, তবে এখনকার ভাষা হইতে তাহার একটা বিশেষ পার্থক্য দুষ্ট হইবে না । ভাষা কয়েকটি কারণে তফাৎ হয়। প্রথমতঃ ভিন্ন ভাষার সংমিশ্রণে ;—কোন কোন ংস্কৃতের পণ্ডিত এই বিংশ-শতাব্দীতে যেরূপ ভাষা প্রয়োগ করিয়াছেন তাহার দুরুহত দেখিয়া কেহ কেহ অনুমান করিতে পারেন, যে উহা গ্রহর্ষের সময়ের ভাষা। মৃত্যুঞ্জয় পণ্ডিত লিখিয়াছিলেন “কোকিল কলালাপ বাচাল যে মলয়ানীল সে উচ্ছলাচ্ছীকরাত্যচ্ছ নিঝরাস্তঃ কণাচ্ছন্ন হইয়। আদিতেছে”। মাইকেলের তিলোত্তমাসম্ভব কাব্যের ভাষা এবং রবীন্দ্রনাথের ক্ষণিকার ভাষায় বিস্তর প্রভেদ আছে, অথচ এই দুই পুস্তক একরূপ সমসাময়িক ( ভাষার ইতিহাস গণনা কালে ৩০|৩৫ বৎসরের ব্যবধান গণনীয় নহে । ) ভাষা তফ{ং হওয়ার দ্বিতীয় কারণ প্রাদেশিকতা। বেশী দিন গত হয় নাই বঙ্গদেশের এক স্থানে একটি ঔষধের বিজ্ঞাপন দেওয়া হইয়াছিল। যে দেশে নবীন চন্দ্র সেন পলাশীর যুদ্ধ লিখিয়া গিয়াছেন,- যে দেশে নবীন চন্দ্র দাস রঘুবংশের সুমধুর বঙ্গানুবাদ করিয়াছেন, এই বিজ্ঞাপনটিতে সেই দেশের ভাষা ব্যবহৃত হইয়াছে ! বিজ্ঞাপন হইতে একটি স্থান উদ্ধত হইল –“ষ্টবা দাবাই না? ইব বড় গম দাবাই । আঁব খালতে ভাইর পোয়ার লাঈ একাআনা দি এক দুর্গ নি; খাবাইলাম যে, আজ্জের আন্দাজ চীর বাইর হঈল । আর শুরা পোয়ারে পাবাইতে কোন ভয় নাই।” এই লেখাটা বার চৌদ্দ বৎসর পূৰ্ব্বে
পাতা:গোবিন্দ দাসের করচা.djvu/৫১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।