পাতা:গোবিন্দ দাসের করচা.djvu/৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভূমিকা b هم শীর্ণ অঙ্গ মলিন বদন। ক্ষণে উঠে ক্ষণে বৈসে রাজা দশানন । ক্ষণে ক্ষণে মূৰ্ছা হয়ে ভূমিভলে পড়ে। এত দিনে পাৰ্ব্বতী শঙ্কর বুঝি ছাড়ে। রাবণের মাত সে নিকষী নাম ধরে। কান্দিতে কান্দিতে গেল রাবণ গোচরে ; সস্তানের স্নেহ বশে দুঃখিত অস্তরে । রাবণে বুঝায় বুড়ী অশেষ প্রকারে ॥ বিভীষণ ভাই তোর ধৰ্ম্মশীল অতি। এসেছিল বুঝাইতে তারে মার লাথি ॥” (৩) “ভূমে পড়ি বালীরাজ করে ছট্‌ফটু। ধাইয়া গেলেন রাম তাহার নিকট ॥ মৃগ মারি ব্যাধ যেন ধাইল উদ্দেশে । ধাইয়া গেলেন রাম সে বালীর পাশে ॥ রক্তনেত্রে ঐরামের পানে চাহে বালী । দস্ত কড়মড় করে দেয় গালাগালি ॥ নিষেধিলা তারা মোরে বিবিধ বিধানে । করিলাম বিশ্বাস চণ্ডালে সাধু জ্ঞানে ॥ রাজকুলে জন্মিয়াছ নাহি ধৰ্ম্মজ্ঞান। আমারে মারিলা রাম এ কোন বিধান। কোন দেশ লুটাইয়া দিলাম কারে ক্লেশ। কোন দোষে করিলা আমার আয়ুশেষ ॥ আর বংশে জন্ম নহে জন্ম রঘুবংশে। ধাৰ্ম্মিক বলিয়া তোমা সকলে প্রশংসে । এ কোন ধর্মের কাজ করিলা আপনি । অপরাধ বিনা বিনাশিলা মম প্রাণী ॥ সবে বলে রামচন্দ্র দয়ার নিবাস। যত দয়া তোমার সব আমাতে প্রকাশ ॥ তপস্বীর ছলে রাম লম বনে বনে। কাহার বধিবা প্রাণ সদা ভাব মনে ॥" শান্তিপুর-নিবাসী বৃদ্ধ পণ্ডিত শ্ৰীযুক্ত হরিলাল গোস্বামী মহাশয় লিপিয়াছেন, করচার প্রাচীন পুথি জয়গোপাল গোস্বামী মহাশয়ের নিকট ছিল, তাহ অনেকেই জানেন। “কিন্তু করচার ষোল আনা মৌলিকতা সম্বন্ধে আমার সন্দেহ হয়।” র্তাহার কেন ? আমি নিশ্চয়ই জানি যে জয়গোপাল গোস্বামী মহাশয়ের মুদ্রিত করচ ষোল আন থাটী নহে। তিনি নিজেও আমার নিকট একথা স্বীকার করিয়াছেন । অপরাপর প্রাচীন পুথি সম্পাদকগণের ন্তায় তিনিও প্রাচীন বর্ণ-বিষ্ঠাসের প্রাকৃত রীতি কতকটা বদলাইয়াছেন। তাহ ছাড়া মাঝে মাঝে অপ্রচলিত শব্দও পরিবর্তন করিয়াছেন ; এবং পয়ারচ্ছনের যেখানে কোনরূপ ব্যতিক্রম পাইয়াছেন, সেখানে দুই একটি শব্দ কমাইয়া, বাড়াইয়া তাহ নিয়মিত করিয়াছেন। সেকালে প্রাচীন হাতের লেখা পুথি মুদ্রাযন্ত্রে উঠিলেই তাহার এইভাবে বেশ-পরিবর্তন হইত, শুধু করচাকে একা এ অপরাধে দোষী করা ঠিক হইবে না। এইরূপ পরিবর্তন সত্ত্বেও যদি চণ্ডীদাস, কৃত্তিবাস, কবিকঙ্কণ ও কাশীদাস প্রভূতি প্রাচীন কবিদিগকে মানিয়া লওয়া হয়, তবে করচা কি দোষে অপাংক্তেয় হইয়া থাকিবে ? বরঞ্চ উল্লিখিত কবিদের রচনা যতটা পরিবৰ্ত্তিত হইয়াছে, করচায় তাহা হইতে ঢের কম পরিবর্তন হইয়াছে। পূৰ্ব্বেই উক্ত হইয়াছে যে সময়ে করচা মুদ্রিত হয় তখন জয়গোপাল গোস্বামীর জ্যেষ্ঠ পুত্র বনোয়ারী লালের বয়স ৪০ এর কম ছিল না। তিনি এই কাৰ্য্যে সৰ্ব্ববিষয়ে তাহার झ