○ り গোবিন্দ দাসের করচা নির্ভর করিতে হইয়াছিল। রূপ ও সনাতন বৃন্দাবনবাসী ছিলেন, তাহারা সাক্ষাৎ সম্বন্ধে মহাপ্রভূর সম্বন্ধে যেটুক জানিতেন সেটুক অবশ্য প্রামাণিক ছিল, কিন্তু তাহ ছাড়া অপরাপর কথার ঐতিহ্য খুব দৃঢ় ভিত্তির উপরে নাই । চৈতন্য চরিতামৃতকার এই জনশ্রুতি মাত্র মাশ্রয় করিয়া চৈতন্যদেবের দক্ষিণাত্য-ভ্ৰমণ লিপিবদ্ধ করিবার জন্ত অপরাধ স্বীকার করিয়া মজ্জন চাহিয়াছেন, এবং তদত্ত বিবরণে ক্রম ভঙ্গ হইয়াছে, এই আশঙ্কার কথাও জানাইয়াছেন ( মধ্য ৭ম ১০৫, মধ্য ৯ম পঃ ৮, মধ্য ১০ম পঃ ১৭৫।১৭৬) তদত্ত দাক্ষিণাত্য ভ্রমণ অতি সজেক্ষপে আছে, এমন কি প্রবাসীর লেখককে পর্য্যন্ত স্বীকার করিতে হইয়াছে যে কৃষ্ণদাস কোন ক্রম রক্ষা করেন নাই। তিনি লিখিয়াছেন, “চরিতামৃতের নামগুলি একখানি মানচিত্রে চিহ্নিত করিলে বেশ বুঝিতে পারা যায় যে পুরীতে প্রত্যাগমনের পর কেবলমাত্র স্মরণশক্তি অবলম্বন করিয়া কতকগুলি তীর্থস্থানের নাম বলিয়া দেওয়া হইয়াছিল।” এই অসম্পূর্ণ, অসংলগ্ন এবং ক্রমভঙ্গ পূর্ণ সংক্ষিপ্ত বিবরণকে প্রবন্ধ লেখক সমাশ্রয় করিয়া করচার বিরূদ্ধে তর্ক জাল বিস্তার করিতেছেন, ইহা বড় আশ্চর্য্যের কথা । লোচন দাসের চৈতন্তমঙ্গল কিংবা জয়ানন্দের চৈতন্ত মঙ্গল, কবি কর্ণ পুরের চৈতন্দ্র চন্দ্রোদয়, ও চৈতন্য ভাগবৎ প্রভূতি কোন পুস্তকেই চৈতন্তদেবের দাক্ষিণাত্য ভ্রমণের সঙ্গী বলিয়া কোন কৃষ্ণদাসের উল্লেখ নাই। কৃষ্ণদাস দাক্ষিণাত্য ভ্রমণের বরাবর সঙ্গী থাকিলে ইহারা অবশুই সে কথা উল্লেখ করিতেন। লোচনদাস বরঞ্চ চৈতন্যদেবের মথুরা ভ্রমণের উপলক্ষে কৃষ্ণদাস নামক এক ব্রাহ্মণের সঙ্গে তাহার সাহচর্য্যের অনেকবার উল্লেখ করিয়াছেন। এ সম্বন্ধে উদোরপিওি সম্ভবতঃ বুধোর উপর পড়িয়াছে। করচার ভৌগলিক তত্ত্ব । গোবিন্দদাস মহপ্রভুর দাক্ষিণাত্য ভ্রমণের যে ভৌগলিক বৃত্তাস্তটি দিয়াছেন, তাহ। এত পুঙ্খানুপূঙ্গ ও বাস্তব, যে তাহ নে কোন লোক পড়িবেন তিনিই এই শ্রদ্ধেয় দিগদৰ্শণীর প্রতি স্থাপন না করিয়া পারিবেন না। 款
- পে; যায় চৈতন্যদেব পুরী হইতে রওনা হইয়া পর পর নিম্নলিখিত স্থানগুলি পর্যটন করেন । ১৫১০ খৃষ্টাব্দের ৭ই বৈশাখ তিনি পুরী হইতে রওনা হন ।
আলামনাথ হইতে গোদাবরী তীরে বৌদ্ধগণের তাৎকালীন প্রধান কেন্দ্র ত্রিমন্দ নগরে, তথায় তুঙ্গভদ্রাবাসী চুওঁীরাম তীর্থকে ভক্তিপথে প্রবৰ্ত্তিত করেন ; তৎপর ত্রিমন্দ হইতে পন্থগুহা হইয়। সিদ্ধবটেশ্বরে ( কডপ্লা নগরের নিকটবৰ্ত্তী ) তৎপর পান্ন৷ নগরের নিকটস্থ বটেশ্বরে তথায় তীর্থরামের উদ্ধার । বটেশ্বরে সাতদিন অবস্থান এবং নদীশ্বরে গমন। তৎপর ২০ মাইল ব্যাপক এক জঙ্গল অতিক্রমণ, তৎপর মুন্না নগরে গমন (মুন্ন নগর মুন্না-নদী তীরবর্তী, মুন্না মান্দ্রাজের নিকটবৰ্ত্তী) মুন্না হইতে বেঙ্কট নগরে (সিদ্ধবটেশ্বর ও ত্রিপদী নগরদ্বয়ের মধ্যবৰ্ত্তা) গমন,