ひb" গোবিন্দ দাসের করচা তৎপর ঘোগায় বারমুখীর উদ্ধার, জাফরাবাদ, পরে সোমনাথে গমন। সোমনাথের পরে জুনাগড়, গুণার পাহাড় অতিক্রমণ ; তথা হইতে আমরাপুরী, গোপীতলা, রৈবতক ও প্রভাস । ১লা আশ্বিন দ্বারকায় গমন, ১৬ই আশ্বিন দ্বারকা হইতে নৰ্ম্মদী তীরে দোহদ নগরে তথা হইতে কুক্ষী, আমঝোরা, মন্দর, দেবঘর (বৈদ্যনাথ নহে ) শিবাণী, চণ্ডীপুর, রায়পুর, বিদ্যানগর ও রত্নপুরে গমন এবং মহানদী পার হইয়া স্বর্ণগড়ে প্রবেশ, তথা হইতে সম্বলপুর •, পমরা, প্রতাপনগর , দাসপাল, রসাল কুণ্ড, ঋষিকুল্য, আলাল নাথ, তথা হইতে পুরী। এই বৃত্তান্তে নিশ্চিতরূপে জানা যাইতেছে যে চৈতন্যদেব পুরী হইতে পূৰ্ব্ব উপকুলের সমস্ত দক্ষিণাংশে ক্রমে পরিলমণ করিয়া পশ্চিম উপকূলে ক্রমে গুজরাট পৰ্য্যন্ত দর্শন করেন। গুজরাট হইতে নৰ্ম্মদ ও বিন্ধ্যগরির সমস্তত্র পথে প্রায় এক সরল রেখার পুরীতে প্রত্যাবর্তন করেন। ১৫১০ খ্ৰীষ্টাব্দের ৭ই বৈশাখ তিনি দাক্ষিণাত্যাভিমুখে রওনা হন ও ১৫১১ খৃষ্টাব্দের ৩রা মাঘ পুরীতে প্রত্যাগমন করেন। সুতরাং এই ভ্রমণ-কাৰ্য্য এ কবৎসর ৮ মাস ২৬ দিনে নিৰ্ব্বাহিত হইয়াছিল। প্রত্যেকস্থানে পৰ্য্যটকদের দৈনন্দিক যেরূপ নানাকৌতূহলোদ্দীপক ঘটনার বর্ণনা আছে, তাহাতে মহাপ্রভুর জীবনের এই প্রায় দুষ্টটি বৎসরের কাহিনী যেমন উজ্জ্বল হইয়াছে, তাহার অন্ত কোন জীবন-চরিতে তদ্রুপ বাস্তব ছবি একথানিও নাই। এই বৃত্তান্তটি ম্যাণ্ডিভ্যালের জেরুজেলাম, নরহরির নবদ্বীপ ও মথুরা, ও জয়নারায়ণের কাশী প্রভৃতির বর্ণনা হইতে ও আমাদের চক্ষে বেশী হৃদয়গ্রাহী হইয়াছে। ভূগোলে ভুল ধরা। করচায় উল্লিখিত আছে—“বারমুখী কুলটারে প্রভু ভক্তি দিয়া । সোমনাথ দেখিবারে চলিল ধাইয়া ; জাফরাবাদের দিকে প্ৰভু চলি যায়। বহু কষ্টে তিন দিনে পৌছায় তথায় ॥” প্রবাসীর আপত্তিকারক বলিতেছেন । ১৩৩২ শ্রাবণ ৪৭৮ পূঃ) “ঘোঘা হইতে জাফরাবাদ আকাশ পথে ১৬০ মাইল অপেক্ষা কিছু বেশী। পাকা সোজা রাস্ত কল্পনা করিলেও প্রত্যহ ৫৩ ৫৪ মাইল পথ অতিক্রম করা অসম্ভব। “প্রভাতে উঠিয়া মোরা সোমনাথে মই ; ছয়দিন পরে গিয়া সেপানে পৌছাই ॥” জাফরাবাদ হইতে সোমনাথ বড় জোর ৬• মাইল । এই ৬• মাইল অতিক্রম করিতে ছয় দিন লাগিল, আর তাহার ঠিক পুৰ্ব্বকার -৬০ মাইল অতিক্রম করিতে তিন দিন ।” প্তাহার এই “ আকাশ পথের” জরিপটা ভাল করিয়া বোঝা গেল না। এবার মামলাট একবারে পুকুর চরির। আমরা অনেকগুলি মানচিত্রে দেখিয়াছি তাহার প্রত্যেক গুলিই
- সম্বলপুরে তদবধি মহাপ্রভূর বিগ্রহের পূঙ্গ চলিতেছে। + এখানে গেীর বিগ্রহ আছে। প্রতাপরুদ্র ঐ বিগ্রহ স্থাপিত করেন।