८त्रमश्वबन्झकुत्चहंत्रत्र्झ*न्वन्ज्ञप्त्रयः। দ্বমানে কাঞ্চননগরে * মোর ধাম। প্তামাদাস পিতৃ নাম গোবিন্দ মোর নাম। অস্ত্র হাতা বেড়ি গড়ি জাতিতে কামার। মাধবী নামেতে হয় জননী আমার ॥ আমার নারীর নাম শশিমুখী হয়। একদিন ঝগড়া করি মোরে কটু কয় ॥ নিগুণে মূরখ বলি গালি দিলা মোরে। সেই অপমানে গৃহ ছাড়িলাম ভোরে । চৌদশ ত্রিশ শাকে বাহিরেতে যাই । অভিমানে গরগর ফিরে নাহি চাই ॥ ক্রমে পহছিনু আমি কাটোয়ার ধাম। সেথা আসি শুনিলাম শ্রীচৈতন্তের নাম ॥ সকলেই চৈতন্তেরে বাখানিয়া + বলে । তাহা গুনি ছুটিলাম দর্শনের ছলে ; ॥ সবদিন চলিয়া আইমু মাঠে মাঠে । প্রাতে গঙ্গা পার হৈয়া আইনু নদের ঘাটে। নদীয়ার নীচে গঙ্গা নাম মিশ্রঘাট । আনন্দ বাড়িল হেরি নদীয়ার পাট ॥ ৪
- কাঞ্চন নগর ( বৰ্দ্ধমান ) উত্তর রাঢ়ের অন্তর্গত।
+ বাথানিয়া= প্রশংসা করিয়া । ছলে=উদ্দেস্যে। ও পাট—প্রাচীন কালে পাট শব্দ রাজধানী (রাজপাট) বুঝাইত। এইজন্ত পাট নাম পাইলে বুঝিতে হইবে তথায় কোন সময় সম্ভবতঃ রাজধানী ছিল। এই পাট শব্দের সঙ্গে পত্তন শব্দের ঐক্য আছে। জঙ্গল কাটিয়| কোন নগর পত্তন করা হইত। এইভাবে শব্দটির উদ্ভব হইয়াছে। পাটনা নাম এই পত্তনের অপভ্রংশ। ডাহিনে বাগেৰী নদী * ... ... ... | শ্ৰীবাস অঙ্গন হয় ঘাটের উপরে। প্রকাও এক দীঘী হয় তাহার নিয়ড়ে ॥
- বাগেদীনদী ও প্রাচীন নবদ্বীপ সম্বন্ধে শাস্তিপুর নিবাসী সুকবি মোজাম্মেল হক সাহেব আমাদিগকে এই বিবরণটা দিয়াছেন।
“বর্তমান নবদ্বীপের অৰ্দ্ধ মাইল পূৰ্ব্বে গঙ্গানদীর পূৰ্ব্বপারে এবং প্রাচীন নবদ্বীপের অর্থাৎ মেয়াপুর ও বামন পুকুরিয়া পল্লীদ্বয়ের দেড় মাইল দক্ষিণে খড়িয়া বা জলঙ্গী নদীর দক্ষিণ ধারে’ মহেশগঞ্জ গ্রাম আছে। মহেশগঞ্জের দক্ষিণ দিক্ হইতে আয়ন্ত করিয়! একটি প্রাচীন জল-প্রবাহের খাত টেংরা, আমঘাট, গঙ্গাবাস, উশিদপুর, ভালুক, কুঁদপাড়া, শিঙ্গেড়াঙ্গা, কুশী, টেরাবালী, গোয়ালপাড়া, কুলে, হিজুলী, বাকীপুর প্রভৃতি গ্রামের পার্শ্ব দিয়া প্রায় ৫/৬ মাইল চলিয়া আসিয় বার্গাচড়া গ্রামে বাগেদীর থালের সহিত মিলিত হইয়াছে। এই দীর্ঘ খাতটার স্থানে স্থানে কালের গতিতে মাট ভরাট হইয়া গিয়াছে এবং ইহা স্থানে স্থানে ভিন্ন ভিন্ন নাম প্রাপ্ত হইয়াছে। যেমন অলকার বিল, গোপেয়ার বিল এবং বাগেদবী খাল ইত্যাদি। বাগেদী খাল, বাগাচড়া গ্রামের উত্তর দিয়া গঙ্গানদী পৰ্য্যন্ত বিস্তৃত। বর্ষাকালে গঙ্গার জল এই খালের মধ্যে প্রবেশ করিয়া থাকে। প্রাচীন কালে ইহা যে একই জলপ্রবাহে পরিণত ছিল, তাহা স্পষ্টই প্রতীয়মান হইয়া থাকে এবং ইহা যে স্বাগেদবী নদী নামেই খ্যাত ছিল তাহাও নিঃসনোহে বলা যাইতে পারে। প্রাচীন বৈষ্ণব গ্রন্থকার যখন বলিয়াছেন, “নদীয়ার নীচে গঙ্গা” “ডাহিনে বাগেদবী” তখন যে এই বাগেদী নদী প্রাচীন নদীয়ার নিকট দিয়াই প্রবাহিত ছিল তাহাও বেশ বুৰ ৰাইতেছে।