গোবিন্দ দাসের করচা তার প্রতি ক্ৰক্ষেপ গোরা না করিয়া । * শ্ৰীবাস অঙ্গনে প্রভু গেলেন চলিয়া ॥ .ހ এখানে শ্ৰীবাস গৃহে মহা সঙ্কীৰ্ত্তন ৭ করিতে লাগিলা প্রভু হয়ে অচেতন । কীৰ্ত্তনে মাতিয়া গোরা নাচিতে লাগিল ! অমনি বসন তার খসিয়া পড়িল ৷ কদম্ব কুসুম সম হইল শরীর । অজ্ঞান হইয়া নাচে মোর ধৰ্ম্মণীর ॥ শোণিতের ধারা বহে লোমকূপ দিয়া । ক্ষ - হইয়াছে অঙ্গ আছাড় খাইয়া ॥ নাচিতে নাচতে বলে ন বনমালী। ভক্তগণ সঙ্গে নাচে দিয়া করশ্রণী ॥ পৌষমাস সংক্রাস্তি সন্ধার সময়ে । ফি'রয়া আঙ্গল প্রভু আপন মালয়ে ॥ যাতায়াত কfরঙ্গে লা" শলা বহু লোক । উথলিয়া ড়ে তছু শচীমার শোক । মিষ্ট ধকে কমনী ; বুধ্ব য়ে তপন । রন্ধন আলয়ে গিয়। দিলা দরশ• { দ্বিতীয় প্রহর মিশ: অতীত হইল । ভোজন ক্রয়। প্রভু শয়ন করলা ॥ | -- - - --- + "লক্ষ্মীরে (বিষ্ণুপ্রিয়া-ক ) আনিয়। প্রভুয় | নিকটে বসায়। দৃষ্টিপাত করিয়াও প্রভু নাহি চায়। | কোথা কৃষ্ণ কোথ। কৃষ্ণ বলে অনুক্ষণ । দিবানিশি শ্লোক পড়ি করয়ে ক্ৰন্দন।" ( চৈ, ভা, আদি ) চৈতন্য চরিতামৃতে দৃষ্ট হয় চৈতষ্ঠদেবের মহাভাবের সময়, প্রতি লোমকূপ হইতে রক্ত বিন্দু | বাহর হইত, সেই দশা রাধিকায় আরোপ করিয়া কৃষ্ণকমল গোস্বামী তাহার “রাইউম্মাদিনী’ কাব্যে লিথিয়াছেন, রাধিকার প্রতি রোম কুপ হইতে রধির উদগম হইতেছে। এস্থলে গোবিন্দদাস সেইরূপ অবস্থার ইঙ্গিত কৰিয়াছেন কিনা, তাহা ঠিক বলা যায় না, যেহেতু রক্তপাতের কারণ স্বরূপ “ক্ষত হুইয়াছে অঙ্গ আছড়ে খাইয়৷ ” ছত্রটি আছে। মুহি গিয়া নিজ স্থানে করিমু শয়ন। প্রভুর আদেশে কিন্তু করি জাগরণ ॥ রজনীর শেষভাগে প্রভু দয়াময় । হঠাৎ বাহিরে আসি মোরে ডাকি কয়৷ * বলে থাক প্রস্তুত হইয়া এই খানে । বিদায় লইয়া আসি মায়ের চরণে ॥ এত বলি অস্তঃপুরে গেলেন চলিয়া । পুনঃ আসি বাহিরিলা আমারে ডাকিয়া ॥ ব্যগ্র হয়ে বলে মোরে চল মোর সনে । কাটোয় নগরে যাই কাটিতে বন্ধনে ॥ এই বাক্য যথা তথা না বলিবে তুমি । সন্ন্যাস করিয়া জীব উদ্ধারব আমি ॥ স্বার্থপর হ্রাচার মদ্য মাংস খায় । কলির জীবের বল কি হবে উপায় ॥
- চৈতঙ্গ ভাগবতে দৃষ্ট হয় সন্ন্যাসের পূর্বরাত্রে প্রভু হ রদাস ও গদাধরের সঙ্গে এক গৃহে শয়ন করিয়াছিলেন। "নিকটে শুইলা হরিদাস গদাধর।* লে:চনদাস এই উপলক্ষে মস্ত বড় একটা দাম্পত্যলীলার অবতারণা করিয়াছেন, তাহ একবারেই সমীচীন হয় নাই । চৈতষ্ঠ ভাগৰতের বর্ণনার সঙ্গে করচার খুব ঐক্য আছে। করচার দৃষ্ট হয় “রজনীর শেষ ভাগে” চৈতষ্ঠ বহিবাটা হইতে অস্তঃপুরে গমন করিতেছেন । চৈতন্ত ভাগবতেও অবিকল সেই কথাই আছে । “দণ্ডচাfর রাত্রি আছে ঠাকুর জানিয়া । উঠিলেন চলিবারে সামগ্ৰী লইয়া ॥” ( চৈ, ভা, মধ্য ২৫ অ ) । এই উপলক্ষে গৌরপদ তরঙ্গিণীতে যে সকল উচ্ছসিত কবিত্বময় পদাবলী আছে, তাহাদের ঐতিহাসিক মুল কিছু নাই । তাঁহাতে বর্ণিত আছে রাত্রে বিষ্ণুপ্রিয়ার হাত শুষ্ঠ শয্যায় পড়াতে তিনি চমকিয় উঠিলেন এবং স্বামা চলিয়া গিয়াছেন জানিয়া শচীদেবীর ঘরের দ্বারে বসিয়৷ মৃদুস্বরে কাদিতে লাগিলেন। পুত্রের সন্ন্যাসচিন্তাভৗত শচীর দুটি চোখে ঘুম ছিল না। তিনি বধুর মৃদ্ধ কান্নার স্বর শুনিয়া আমনই বাহির হইলেন। তখন শাশুড়ী ও