৯৪ গোবিন্দ লীলামৃত । রের সঙ্গ ব্যাপ্ত হয়ে আছে তার অন্ধ অঙ্গ সঙ্গ ৷ এইৰূপে সখীগণ হাস্যমুখ দেখি। সুধামুখী উৎকণ্ঠিত অবনত মুখ। ভাবের গাম্ভীৰ্য্য ধৈর্য্য করি নিজ অঙ্গে। কৃষ্ণ তৃষ্ণ নিবেদন করে বাক্যভঙ্গে। রাই কহে ললিতাদি শুন সব সখী ! এক প্রশ্ন কথা মোর কহ সবে দেখি। চতুদিগে নাম্ব,দ বৃন্দের উদয়। তৃষ্ণাৰ্ত্ত চাতকেশ্বর তথাই ফিরয়। প্রতিপক্ষ ৰায়, যদি তারে দূর করে। তবে সে চাতকেশ্বর কৈছন আচরে। বৃন্দ কহে শুন কহি ইহার বিশেষ । যাহাতে চাতকেশ্বর নাহি পায় ক্লেশ ॥রাৰি দিন রহে মেঘ সঙ্গিগণ লয়ে। নব নব রস বৃষ্টি সেচন করিয়ে । অপেক্ষা না করে কার শঙ্কা নাহি মনে চাতকেশ্বরের তৃপ্তি করে অনুক্ষণে। এক নিষ্ঠা দেখি হৰ্ষপীয় মেঘগণ। পূর্ণ বৃষ্টিদিয়া তৃপ্তি করে তার মন৷ অত্যন্ত নিরস মেঘগণ যবে আইসে। দেখিয়া চাতকেশ্বর সুখ নাহিবাসে। অতএব শ্বামকুণ্ডে সবে স্নান কর। সখী লয়ে মিত্রপূজা স্বচ্ছ ন্দ আচর। এথাই রহিব আমি আছে প্রয়োজন । এইৰূপে তারা সব করিলা গমন ॥এথা বৃন্দাদেবী শারী পাঠায় ত্বরাতে জটিলাদি ৰূদ্ধাগণ আইসে ষে পথে। কীর পাঠাইলা যথা চন্দ্রাবলীগণ । গৌরীতীর্থ পথে কীর করিলা গমন । তবে ব্লন্দাদেবী সব সামগ্ৰী দেখিতে। সে গহে সামগ্ৰী দেখি হৈল। হরষিতে। মধুকেলী সামগ্র্যাদি অনেক দেখিল। হিন্দোলার সাজ যত প্রত্যক্ষে দেখিল মধুপান বনলীলা রতিলীলা করি। জললীলা দুষ্ট বেশ সামগ্র্যাদি ধরি, । সুন্দর আসন শষ্য শুক পাঠ লীল পাশাখেলা আদি যত সামগ্ৰী দেখিল। সেই সেই স্থানে সৰ সামগ্ৰী পাঠায়। রাধাকৃষ্ণ আগমন সৰ রে জানায় । লীল পরিকর আর স্থাবর জঙ্গমে । স্থিরানন্দ
পাতা:গোবিন্দ লীলামৃত গ্রন্থঃ.djvu/১০১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।