গোবিন্দ লীলামৃত। 33 লইয়। বাস ভ্ৰ,ভঙ্গি করিয়া। সেই যে ললিত। আমি কহয়ে হাসিয়া । বহু বেরি জান তুমি আমার চরিত। সখী লৈয়া যাৰ শাঠ্য ন হৈল ফলিত। এত কহি গমনের উদ্যম করি লা। পরম সংস্রমে কৃষ্ণ বসনে ধরিলা ৷ ধরিয়া কহয়ে বংশী না দিয়া গমন। সুলভ নহল এই কহিল নিয়ম ৷ তুমি বংশী চুরি কৈলা বুঝি অনুমানে। নহে ভীত হৈয়। কেন কর পল য়নে ৷ নিজাঙ্গ শোধন কর অামা দেখাইয়। । থাক বা গমন কর যথেষ্ট করিয়া। শুনিয়। ললিত লয়ে বস্ত্র আকষিয়া । বক্র নেত্র করি কহে ঈষৎ-কুসিয়া । কামে উনমত্ত যদি হৈয়। আছ এত। ভ্রাতৃপত্নী অঙ্গ এৰে দেখ অভিমত। নাহি দেখি বশী তোমার নাহি লই কভু । পরম আগ্রহ যদি না ছাড়হ তভূ। তবে মূল্য দিব বে কহিল কুন্দলন্ত নহে তার সম কাঠি আনি দিব এথা । মল্পী ভঙ্গী নামে আছে পুলিন্দীর সূত। শৈলেন্দ্র আলয়ে রহে সখী অনুরক্ত ৷ আমার বচনে দিবে বংশ পৰ্ব্ব আনি ৷ জৰ্জ্জর সছিদ্র যৈছে লৈয়াছিল। তুমি। তবে কৃষ্ণকহে সেই পুলিন্দীর সূতা। আমীন্তে তাহার রতি সৰ্ব্বত্র বিদিত। আমা না দেখিয় অতি ব্যাধি হৈল তার। হেন দুঃখ হৈল যার নাহি পারাবার। তৃণেতে লাগিল মোর চরণ কুকুম। তাহাৰক্ষে লেপি তারা তাপ কৈল উন। গিরি ধাতু গুঞ্জ আনি আমারে যোগায়। সে কেন তোমার দাসী মোর দাসী প্রায়। বংশীহর আর মোরে কর অপমান। বাহু পাশে বান্ধি দণ্ড করিতে বিধান। কে তোমারে রক্ষা করে করু এবে দেখি। কহিয়া সাটোপ ক্লষ্ট পসারয়ে আঁখি। নাগরেন্দ্র বাণী শুনি বিশাখ হাসিয় । ললিতকে "ছে রাখি কহে সাম্য হৈয়া। শুন যুবরাজ অর্থ যদি চুরি যায়।
পাতা:গোবিন্দ লীলামৃত গ্রন্থঃ.djvu/১২৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।