১২৮ গোবিন্দ লীলামৃত । তরঙ্গে নিসাঙ্গ কৃষ্ণ করি । ৰিহার করয়ে কত নিজ ইচ্ছ। ভরি হস্ত আস্ফালন তাতে কত কত কৈল । কুচ চক্রবাক যুগে লি খন রহিল । তাহ শুনি রঙ্গদেবী কহিতে লাগিল । রাধ। সুধামুখী দৃষ্টে নিষেধ করিল। তথাপিহ কহে কৃষ্ণ শ্রবণেচ্ছ - জানি। কৃষ্ণ কর্ণ পুর্ণ করে সুধাময় বাণী ৷ রাই বক্ষস্থলে দুই সুবর্ণ কলসে। তরুণীমমণি তাতে ভরিল অশেষে।। যত নে খুইল বিধিগোপন করিয়া । মুদিত করিল কুম্ভ সুরঙ্গাদি দিয়া it কৃষ্ণ চেীর নিজ নখ খস্তি তাতে দিয়া । খনন করিতে চিত্ন রহিল লাগিয় । সুদেবী কহয়ে বাণী একথা শুনিয়া। পরিহাস করে গিরিধরেরে তপিয়াuসুবর্ণ দাড়িম্ব এই বনপ্রিয় অতি সৎফল ধরিল দুই সুবর্ণের দৃতি। প্রীতাংশুক নখে তাহা খনন করিল। সেই চিহ্ন কুচযুগ দাড়িম্বে রহিল। চন্দ্র মুখী দেবী তার অবসর পায়ে । সহাস্য বদনে কহে অতি হৃষ্ট হয়ে । ভ্রমরার ক্ষত পুষ্প দেখ বিদ্যমান । রাই কুচ ওষ্ঠাধর দন্তের বিধান। তাহ শুনি হাসি কহে সুমধুর বাণী । অত্যন্ত অমৃত এই রসময় জানি । রাধিক লোচনাঞ্জনে কৃষ্ণের অধর হয়ে আছে যেন পক্ক জামের সোসর। রাধিকার দন্ত শুক ক্ষুধা ওঁ হইয়। দংশন করিল ভার চিকু দেখসিয়া । কৃষ্ণের ইঙ্গি তে তবে কাঞ্চনলতিকা। কহয়ে বারয়ে তৰে দৃষ্টিত রাধিক রাধিকার নাভিলোম কুচদ্বন্দ মুখ । জান্ত হয়ে বিধি ইহা কহে পায়ে সুখ । সুধানদে শুমলাল পদ্ম সুধাকর । এইসতা কথা আমি জানিয়ে অন্তর । সদা মুখ বিধু কান্তি লাগে কুচ যুগে। তেঞি সদা কুচপদ্ম কলিকার যোগে ৷ শুনিয়া মাধবী কহে হরিষ বয়ান | করায় কৃষ্ণের কর্ণ অমিয়া সেচন । রাধ। নাভি কুণ্ড মাঝে ত্ৰিবলী মেখলা। নিতম্ব ৰেদিক লোমাবলী
পাতা:গোবিন্দ লীলামৃত গ্রন্থঃ.djvu/১৩৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।